সিসিটিভি’র আওতায় ঈশ্বরদীর সকল মন্দির, শেষ মুহূর্তে রং-তুলির আঁচড়ে সাজছে দেবী দুর্গা

আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার ৩২টি পূজামন্ডপের সবগুলোই স্থায়ী সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এসেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫টি পূজা মন্ডপে স্থায়ীভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং সরঞ্জামাদি ইতোমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। ৭টি মন্দিরে আগে থেকেই সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল।

জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করার ঘটনায় ঈশ্বরদীতে দুর্গাপূজা নির্বিঘেœ উদযাপন নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঈশ্বরদীতে একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা টহল শুরু করেছে, যে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগ।

প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ ছাড়াও বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে মন্দির কমিটির সাথে একাধিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠানে তারা কঠোরভাবে দেখভাল করবেন বলে আশ্বস্থ করেছে। পূজামন্ডপে সব সময়ে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে মন্ডপের নিরাপত্তার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিএনপি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের নিয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা সভাপতি সুনিল কুমার চক্রবর্তি জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা অনুষ্ঠানে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতারা তৎপর রয়েছেন। ইতোপূর্বে ঈশ্বরদীতে কখনো দুর্গোৎসবে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশা করি সকলের সহযোগিতায় এবারেও এখানে কিছু ঘটবে না।

ঈশ্বরদী পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, সবগুলো মন্দিরে যাতে সুষ্ঠভাবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য প্রতিটি মন্দিরে পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহীদ বলেন, ঈশ্বরদীতে দুর্গোৎসব নির্বিঘœ করতে পুলিশ বিভাগ সতর্ক অবস্থানে আছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা সুবির কুমার দাশ জানান, ৩২টি মন্ডপের মধ্যে ৭ টিতে আগে থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল, নতুন করে বাকি ২৫টি পূজামন্ডপও এবার সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে এরই মধ্যে অধিকাংশ মন্ডপে শেষ হয়েছে প্রতিমা নির্মাণকাজ। মৃৎশিল্পীরা এখন রঙ-তুলির আঁচড়ে সাজ-সজ্জা ও প্রতিমার সৌন্দর্য বর্ধণে শেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আগামী ৮ অক্টোবর ষষ্ঠীতিথিতে রাত ১২টা ১৬ মিনিটের মধ্যে দেবী দূর্গা প্রতিমা আসনে অধিষ্ঠিত হবেন। তিথি অনুযায়ী মহাষ্টমী ও মহানবমী এবং মহানবমী ও বিজয়া দশমী একই দিনে পড়েছে। বিজয়া দশমী পালিত হবে ১২ অক্টোবর শনিবার। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ