সুজানগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ভাঙচুর, গ্রেফতার ১৬

আপডেট: মে ১০, ২০২৪, ৪:৪৬ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি :


নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পাবনার সুজা-নগরে অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর হামলা ভাঙ-চুরের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বুধবার (৮ মে) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর পর্যন্ত উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘে ছে। এসব হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, সুজানগর উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত থেকেই পরাজিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায় বিজয়ী আব্দুল ওয়াহাবের সমর্থকরা।

বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় সুজানগর পৌরসভারসহ ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময়ে বাড়ির সদস্যদের মারপিট করে লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

বালিয়াঙ্গী গ্রামের ফরিদ মোল্লা, শহীদ শেখ, গোয়ালকান্দি গ্রামে ধীরেন্দ্রনাথ কুন্ডু, গীতা রানী কুন্ডু, বাজার সিন্দুরিয়া গ্রামের আলম শেখ সহ অর্ধ শতাধিক কর্মী সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা।

এসব ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন এর পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। এ কারণে বিজয় প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থকরা বুধবার রাত থেকে এই তাণ্ডব চালায়। একই দলের লোক হয়ে তারা এরকম কাজ করবে তা কল্পনা বিহিন।

ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

পরাজিত প্রার্থী শাহিনুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই একের পর হামলা ও ভাঙচুর চালানো হচ্ছে তার কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে। বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তার। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

বিজয়ী প্রার্থী আব্দুল ওহাব কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

ইতোমধ্যে এসব ঘটনা পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ১৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। যেহেতু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, সেজন্য এখন কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version