হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসবে পশ্চিমবঙ্গের অতিথিরা যা বললেন

আপডেট: মে ৪, ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :


বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও ভারত থেকে শতাধিক কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলার মধ্যদিয়ে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী ‘হাসান আজিজুল হক সাহিত্য উৎসব- ২০২৪’।

এই সাহিত্য উৎসবে পশ্চিমবঙ্গের অতিথিরা সাহিত্য উৎসব সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা সোনার দেশকে বললেন, বাংলা সাহিত্যের আলাদা একটা মাধুর্য রয়েছে। এদেশের নদী-নালা, খাল-বিল, পাখির ডাকসহ সব কিছুর মধ্যেই আলাদা একটা সুর আছে, ছন্দ আছে। তাই বাংলা সাহিত্যের মাধুর্য সাহিত্য উৎসবের মাধ্যমে সহজেই বিকশিত হচ্ছে। কোনো ভাষা সম্পর্কে জানতে হলে, সেই ভাষার সাহিত্য উৎসবের কোনো বিকল্প নেই।

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি মৃদুল দাশগুপ্ত বলেন, চরম গরম- তবুও এই সাহিত্য উৎসবের অতল স্পর্শী কথার মাধুর্যে সুখ পেলাম। হাসান আজিজুল হক- তাঁকে ভোলা যায় না। তাঁকে নিয়ে অনেক কথা খুব ভালো লাগলো। সুন্দর হোক কথার মাধুর্য তার রূপ দিয়ে।

পশ্চিমবঙ্গের লেখক সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলা ভাষার অপূর্ব মেলবন্ধন এই আয়োজন। হাসান আজিজুল হক স্মরণে এ আয়োজন অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়েছে। এই সাহিত্য উৎসবে এসে মনে হচ্ছে অনেকদিন পর দেহে প্রাণ ফিরে পেলাম।

সত্যই বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের সাহিত্য উৎসব। এখানকার গৃহবধূসহ আবাল বৃদ্ধ সবাই চমৎকারভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলে। ভাষার উপর যতই আগ্রাসন আসুক না কেন এদেশ সে ভাষাকে রক্ষা করবেই করবে।

রামকিশোর ভট্টাচার্য বলেন, ধন্য সাধু- এমন সাহিত্য উৎসবের আয়োজনে আমি ব্যক্তিগতভাবে আপ্লুত হয়েছি। সবার কল্যাণ হোক, আনন্দ ঘিরে রাখুক সবাইকে। এই সাহিত্য উৎসবের আয়োজন খুব ভালো হয়েছে। তাই অংশগ্রহণ করে খুশি হয়েছি। বাংলাদেশ শ্যামলী ভরা আর এ মাটি ভালোবাসায় বাংলাসাহিত্য ও শিশুসাহিত্য টিকে থাকুক অনন্তকাল।

ধীমান চক্রবর্তী বলেন, অন্তরের বিকাশ সবার আগে প্রয়োজন। আর তা মনে হয় এই সাহিত্য উৎসবে এসেই হলো, সুন্দর হল চেতনা। এই সুন্দর চেতনা নিয়ে ফিরব দেশে। তখন আলাদা অনুভূতি আমাকে আন্দোলিত করবে।

আনসারুল হক বলেন, বাংলাদেশ আমার প্রিয় দেশ। আমি আমার অন্তরে ধারণ করি এদেশকে। এদেশের আলো, বাতাস আর সবুজ সবটাই আমাকে টানে। তাই সাহিত্য উৎসবের আয়োজন সফল হয়েছে।

Exit mobile version