৯ রানের জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ বাংলাদেশের

আপডেট: মে ৭, ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


একশ’র আগে নেই ৮ উইকেট। বাংলাদেশ যখন বড় জয়ের স্বপ্ন দেখছে তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ওয়েলিংটন মাসাকদজা-ফারাজ আকরাম। খেলা নিয়ে যান শেষ ওভার পর্যন্ত। ৬ বলে যখন ২১ রান প্রয়োজন তখন সাইফউদ্দিন এসে প্রথম বলে মাসাকাদজাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান। শেষ পর্যন্ত ১১ রানের বেশি নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯ রানের জয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (০৭ মে ২০২৪) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান করে। তাড়া করতে নেমে নয় উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

নবম উইকেটে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে স্বাগতিক শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেন মাসাকাদজা-ফারাজ। ১৩ রানে মাসাকাদজার আউটে ভাঙে জুটি। ফারাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩৪ রানে। তার সঙ্গে ব্লেসিং মুজরাবনি ৪ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।

শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ৯১ রানে পতন ঘটে ৮ উইকেটের। এরপরই আক্রমণ শুরু করেন দুজনে। তবে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি দলকে। মাঝে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন জনাথন ক্যাম্পবেল। ওপেনিংয়ে নেমে ২৬ বলে ৩১ রান করেন মারুমানি। এ ছাড়া বিশের বেশি কেউ করতে পারেনি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে ৪২ রান দেন তিনি। ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।

এরআগে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশ ৩য় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে। তাওহীদ সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। ৩৮ বলে ৩টি চার এবং ২টি ছয়ের মারে তিনি এই রান করেন। তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান জাকের। ৬০ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর দুজনে পাল্টা আক্রমণ করেন। জুটি থেকে আসে ৫৮ বলে ৮৭ রান।

একই ওভারে দুজন ফেরার পর ইনিংস শেষ করে আসেন মাহমুদউল্লাহ-রিশাদ। মাহমুদউল্লাহ ৪ বলে ৯ ও রিশাদ সমান বলে ৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। তিন টপ অর্ডার ব্যাটার ব্যর্থ হয়েছেন। থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি লিটন দাস-তানজীদ হাসান। টানা তিন বলে স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন লিটন। তৃতীয়বারের চেষ্টায় হন বোল্ড। তিনি ১৫ বলে ১২ রান করেন। তার পর ক্রিজে এসে নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ৬ রানে।

অন্য প্রান্তে তানজীদ খেলতে থাকলেও তার ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। ২২ বলে ২১ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তার আউটের পরই তাওহীদ-জাকেরের আক্রমণে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
মুজরাবানি জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন। এছাড়া ফারাজ আকরাম এবং সিকান্দার রাজা নেন একটি করে উইকেট।
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version