আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০১৭, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ

দাকান খোলা
তন্ময়: তোর ছোট ভাইটা এখন কী করছে?
রাফি: কিছুদিন আগে একটা কাপড়ের দোকান খুলেছিল, এখন জেলে আছে।
তন্ময়: কেন ?
রাফি: কারণ ও দোকানটা খুলেছিল হাতুড়ি দিয়ে… দরজা ভেঙে!

একচেটিয়া ব্যবসা
বদু: কী করছিস আজকাল?
কদু: সৎ পথে ব্যবসা করার চেষ্টা করছি।
বদু: তাহলে তো তোর একচেটিয়া ব্যবসা।
কদু: মানে?
বদু: তুই ছাড়া তো ওই লাইনে আর কেউ নাই!

এক মিনিটের জন্য মানুষ
ভিক্ষুক: মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।
বাড়ির মালিক: বাড়িতে মানুষ নেই, যাও।
ভিক্ষুক: আপনি যদি এক মিনিটের জন্য মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো!

কাল এনে দেবো
পচাদা নিজের দোকানের নতুন কর্মচারি বান্টাকে বলল ‘আমি বাড়ি থেকে আসছি, কোন খদ্দের ফেরাবি না। যা চাইছে তা দোকানে না থাকলে অন্য কো¤পানির কিছু একটা দিয়ে বলবি আজকের মত চালিয়ে নিতে, কাল এনে দেবো।’
খদ্দের: ভাই, টয়লেট পেপার আছে?
বান্টা: না দাদা, শিরিষ কাগজ আছে, আজকের মত চালিয়ে নিন, কাল এনে দেবো।

তিন মাতালের গাড়ি চড়া
৩ জন মাতাল রাতে একটা গাড়িতে উঠল। ড্রাইভার বুঝতে পারল যে তারা মাতাল! ড্রাইভার গাড়ির ইঞ্জিন চালু করল এবং সাথে সাথে বন্ধ করে ফেলল আর তাদেরকে বলল যে তারা নাকি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেছে।
৩ মাতাল গাড়ি থেকে নামল।
১ম মাতাল: ধন্যবাদ…
২য় মাতাল: নিন, ১০ টাকা বকশিস দিলাম।
তখন ৩য় মাতাল ড্রাইভারকে দিল একটা থাপ্পড়।
ড্রাইভার মনে করল যে লোকটা বোধ হয় মাতাল না, হয়ত সবকিছু বুঝে ফেলেছে। তবুও ড্রাইভার তাকে জিজ্ঞেস করল, থাপ্পড় মারলেন কেন?
৩য় মাতাল: শালা, এত ¯পীডে কি কেউ গাড়ি চালায়! আর একটু হলে তো মেরেই ফেলেছিলি।

কিছুক্ষণের জন্য ছাড়তে হবে
ম্যাজিস্ট্রেট: ২০ টাকা পকেট মারার জন্য তোমাকে একশ টাকা জরিমানা দেওয়া হল।
পকেটমার: আমার কাছে মাত্র ২০ টাকা আছে, স্যার। বাকি টাকা এক্ষুনি এনে দিতে পারি, কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য ছাড়তে হবে।

বল্টু ও তার বন্ধু
তিন বন্ধু মিলে জঙ্গলে হাঁটছে। হঠাৎ তাদের সামনে একটা পরী এল।
পরী: তোমরা একটা করে ইচ্ছার কথা বল, আমি তোমাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করে দেব।
বন্ধু ১: আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বানিয়ে দাও।
পরী: দিলাম।
বন্ধু ২: আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলে বানিয়ে দাও।
পরী: দিলাম।
বল্টু: এই দুইজনকে আগের মত করে দাও!

সিনেমার বিয়ে এবং বাস্তব বিয়ে
দুই বিবাহিত বন্ধু বিল্টু আর দুবলোর মধ্যে কথা হচ্ছে:
বিল্টু: আচ্ছা দুলাল! বল তো সিনেমার জীবন আর বাস্তব জীবনের মধ্যে পার্থক্য কী?
দুলাল: এইটা বুঝলি না! সিনেমায় অনেক ঝক্কিঝামেলা পেরোনোর পর বিয়ে করতে হয়। আর বাস্তব জীবনে বিয়ের পর অনেক ঝক্কিঝামেলা শুরু হয়!

অসুখটা আসলে মানসিক
ডাক্তার: চিন্তার কিছু নেই। আপনার চাচার অসুখটা আসলে মানসিক। উনি মনে করেন উনি অসুস্থ, আসলে তা নয়।
কিছুদিন পর রোগীর খবর নিতে ফোন করলেন ডাক্তার।
ডাক্তার: কী অবস্থা আপনার চাচার?
রোগীর আত্মীয়: খুবই খারাপ! উনি মনে করেন, উনি মারা গেছেন!

বারোটা বাজবে
এক ছাত্র পরীক্ষার হলে বসে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেশ অস্থির হয়ে বিড় বিড় করছে-
শিক্ষক: কী ব্যাপার তুমি খাতায় না লিখে বসে বসে উসখুস করছ কেন?
ছাত্র: স্যার, প্রশ্ন যে রকম কঠিন এসেছে লিখতে আমার বারোটা বাজবে।
শিক্ষক: তাতে কি এখন তো এগারোটা বাজে!

যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে
শফিক সাহেব: আমি আগামী মাস থেকে যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব। কী বলেন?
রফিক সাহেব: কেন, এ মাসে নামবেন না কেন?
শফিক সাহেব: এ মাসে আমার ছেলের বিয়ে আর আগামী মাসে মেয়ের বিয়ে তো, তাই!

গোপন রহস্য
জন্মবার্ষিকীতে একজন শতায়ু বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করা হল, তাঁর এই দীর্ঘ্য জীবনের গোপন রহস্য কী? বৃদ্ধা বললেন, এখনই ঠিক বলা যাচ্ছে না। একটা ভিটামিন পিল কো¤পানি, একটা আয়ুর্বেদ কো¤পানি আর একটা ফ্রুট জুস ফ্যাক্টরির সাথে দরদাম চলছে।

কী করে বলব

(২১) বাইরে থেকে দরজা নক করছে।
ভেতর থেকেঃ কে?
বাইরে থেকেঃ আমি।
ভেতর থেকেঃ আমি কে?
বাইরে থেকেঃ আরে, আপনি কে আমি কী করে বলব?
একটা কঠিন প্রশ্ন করব

(২২) চাকরির ভাইভায় এক তরুণকে প্রশ্ন করা হল-
প্রশ্নকর্তা : আপনাকে আমি ১০টি সহজ প্রশ্ন করব অথবা কেবল একটা কঠিন প্রশ্ন করব। উত্তর
দেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন, কোন অপশনটা বেছে নেবেন।
তরুণ : কঠিন প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে চাই।
প্রশ্নকর্তা : ভালো, শুভকামনা আপনার জন্য। এবার বলুন, কোনটা প্রথমে আসে- দিন না রাত?
তরুণ : দিন প্রথমে আসে, স্যার!
প্রশ্নকর্তা : কীভাবে?
তরুণ : দুঃখিত স্যার, আপনি কথা দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় কোনো কঠিন প্রশ্ন করবেন না আমাকে!

স্যার কারেন্ট ছিলো না

(২৪) শিক্ষকঃ তুমি হোমওয়ার্ক করে আনোনি কেন?
বল্টুঃ স্যার, লোডশেডিং। তাই আলো ছিলো না …
স্যারঃ মোমবাতি জ্বালালেই হতো।
বল্টুঃ স্যার, লাইটার ছিলো না…
স্যারঃ লাইটার ছিলোনা কেন ?
বল্টুঃ স্যার, বাবা যে রুমে নামাজ পড়ছিলো ওখানে ছিলো।
স্যারঃ তাহলে.. ওখান থেকে আনলে না কেন?
বল্টুঃ স্যার, আমার ওজু ছিলোনা….
স্যারঃ ওজু ছিলোনা কেন ?
বল্টুঃ পানি ছিলোনা স্যার…
স্যারঃ কেন ছিলো না ?
বল্টুঃ মোটর কাজ করছিলো না!!!
স্যারঃ স্টুপিড !!! মোটরে কি হয়েছিলো?
বল্টুঃ স্যার, শুরুতেই তো আপনাকে বললাম, কারেন্ট ছিলো না।
শুনা কথায় কান দিতে নেই

(২৫) ছেলেঃ বাবা তুমি নাকি ঘুষ খাও?
বাবাঃ তুমি দেখেছ?
ছেলেঃ না শুনেছি।
বাবাঃ শুনা কথায় কান দিতে নেই।
কিছু দিন পরÍ
বাবাঃ তুমি নাকি পরীক্ষায় ফেল করেছ?
ছেলেঃ তুমি কি দেখেছ বাবা?
বাবাঃ না শুনেছি।

ছেলেঃ শুনা কথায় কান দিতে নেই বাবা।