নাটোরে ৯ দিনে ৮টি রাসেলস ভাইপার সাপ হত্যা

আপডেট: জুলাই ১, ২০২৪, ১১:০৩ অপরাহ্ণ

নাটোর প্রতিনিধি:


নাটোরের লালপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে গত ৯ দিনে ৬টি বাচ্চাসহ মোট ৮ টি রাসেলস ভাইপার সাপ হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো চরাঞ্চল জুড়ে।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে চরাঞ্চলের নলবোনা মাঠে বাদামের জমিতে একটি রাসেল ভাইপার দেখতে পায় কৃষকরা। বাদাম গাছে হাত দিতেই দেখা যায় সাপটি ইঁদুর খাচ্ছিলো। এ সময় মানুষের উপস্থিতি টেঁর পেয়ে ফোঁস শব্দ করে আক্রমণ করতে তেড়ে আসে। পরে রশিদ ফরাজি নামে এক কৃষক সাপটিকে মেরে ফেলে। এর আগে গত শনিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পদ্মার নওসাড়া চরের একটি বাদাম খেতে তিন বাচ্চাসহ মা রাসেলস ভাইপারকে হত্যা করা হয়।

পরের দিন রোববার (২৩ জুন) সকালে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নওসাড়া চরে কুমড়ার জমিতে ঘাস কাটতে গিয়ে তিনটি রাসেলস ভাইপার সাপের বাচ্চা দেখতে পান উপজেলার মোহড়কায়া কয়লার ডহর গ্রামের বাসিন্দা কাজল (২২)। পরে স্থানীয় কৃষকরা মিলে সাপের বাচ্চা তিনটিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

বিলমাড়িয়া এলাকার স্থানীয় কৃষক আকাশ জানান, এই সাপ এর আগেও চরে দেখা গেছে। এক সঙ্গে চরে চারটি রাসেল ভাইপার সাপ মেরে ফেলার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাজুড়ে এখন সাপ আঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক কৃষকই সাপের ভয়ে চরে বাদাম তুলতে যেতে চাইছে না।
স্থানীয় বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিক আলী মিষ্টু জানান, চরাঞ্চলে জমিতে সাপ বের হয়ে আসছে। এতে কৃষকরা মাঠে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করার পরামর্শ দেন।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ৮টি রাসেল ভাইপার সাপ মারা পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু লালপুর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ানো কোন রোগী আসে নি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিভেনাম আছে, চিন্তার কোন কারণ নেই।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, পদ্মার চরাঞলে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রুপ দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version