লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রোপা আমনের আবাদ II কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত চাষীরা, ভালো ফলনের প্রত্যাশা

আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রাকৃতিক দূর্যোগ তেমন বাঁধ সাধতে পারে নি। প্রত্যাশিত ফলনের প্রত্যাশা নিয়ে উৎসবমূখরভাবেই শুরু হয়েছে ধান কাটা-মাড়াই। বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রাজশাহীর ৯ টি উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮১ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৮৩ হাজার ১৭৭ হেক্টর। যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছিলো ৮০ হাজার ৮৩২ হেক্টর। যেখানে উৎপাদন ছিলো ২ লাখ ৮৬ হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আবাদের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে কৃষি বিভাগ।

রাজশাহীর উপজেলাগুলো ঘুরে দেখা যায়, উৎসবমূখর পরিবেশে ধান কাটা মাড়াই চলছে। রোপা আমন ঘরে তুলতে গেরস্থ বাড়ির উঠনে চলছে ব্যস্ততা। কেউ বা নিচ্ছেন প্রস্তুতি।
কৃষকদের ভাষ্য, এবার রোপা আমন চাষে তেমন বেগ পেতে হয় নি। কয়েকটি উপজেলায় কয়েকদিন ধান পানির নিচে থাকায় ডুবে থাকা জমির ধানের ফলন কম হয়েছে। তবে অন্য জমির ধান খুবই ভালো হয়েছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম ছিল। ফসল নষ্টকারী ইঁদুরের আক্রমণ ছিল শঙ্কার চেয়ে কম। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া পাওয়া গেছে।

চাষীরা বলছেন, ফলন বেশি হলে দাম কমে যায়। এটা কৃষকদের জন্য দূর্ভোগের। তবে এবার প্রথম থেকেই ধানের দাম ভালো পাচ্ছেন। আশা করছেন, সামনে ধানের বাজার খুব একটা কমবে না।

গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষক আশিকুর রহমান বলেন, আমার ক্ষেতের ধান খুবই ভালো হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটবো। প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। এখন পর্যন্ত ধানের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। প্রতি বিঘায় ২২ মণের উপরে ফলন হবে বলে আশা করছি।

পবা উপজেলার কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ধান ভালো ছিলো। কিন্তু মধ্যে হঠাৎ বন্যায় ধান ডুবে ছিলো। এ কারণে ধানের চেয়ে চিটা বেশি হয়েছে। ফলন কম হয়েছে। তবে ধানের দাম ভালো আছে। ক্ষতিটা দামে পুষিয়ে যাবে বলে আশা করছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত রোপ আমন ৭ থেকে ১০ শতাংশ টাকা হয়েছে। চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার রোপা আমন চাষ বেশি হয়েছে। হঠাৎ বন্যায় কিছু কৃষকের ফলন কম হতে পারে। তবে সে সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবারও উৎপাদন হবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version