অবৈধ স্থাপনায় পাওয়া যাবে না সরকারি পরিষেবা

আপডেট: জুন ২৪, ২০২৪, ৮:১০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


জমি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনায় সরকারি কোনো পরিষেবা দেওয়া হবে না। একই সাথে এসব স্থাপনায় পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা অপসারণে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (২৪ জুন) বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন তিনি। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

তিনি বলেন, সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জমিসহ ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে এবং এখন তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করছে, যাতে করে তারা খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে কোনো স্থাপনা করা হলে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান সেখানে পরিষেবা দেবে না। এসব ক্ষেত্রে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সব সরবরাহ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।

রাজশাহী বিভাগে চলমান সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে হুমায়ূন কবীর বলেন, ইতিমধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অনাবশ্যক ব্যয় পরিহার করতে হবে।

তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সশরীরে সরেজমিন পরিদর্শন করে যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন। প্রকল্প ব্যয় ও মেয়াদ যাতে পরবর্তীকালে বাড়াতে না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন বিভাগীয় কমিশনার।

সামাজিক মাধ্যমে রাসেলস ভাইপার সাপের প্রচার ও এর উপদ্রপ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক তথ্য প্রচার ও জনসাধারণের মাঝে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, জনগণকে জানাতে হবে সাপে কামড় দিলে তাদের প্রাথমিক পর্যায়ে করণীয় কী, কোথায় গেলে এন্টিভেনম পাবে। হাসপাতালগুলোয় এন্টিভেনমের জোগান সম্পর্কে বিভাগীয় কমিশনার জানতে চান এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় কৃষিজমিতে তামাকের পরিবর্তে খাদ্যশস্য চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ, আম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিমাপের একক হিসেবে ‘মণ’কে নির্দিষ্ট কিলোগ্রামে নির্ধারণ, পদ্মাপারে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্রেতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের দৃষ্টিতে আনা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় ভাতা ভোগীরা যেন প্রতারণার শিকার না হয় সে লক্ষ্যে প্রচারণা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমানসহ বিভাগের আট জেলার জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের বিভাগীয় প্রধানেরা অংশগ্রহণ করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version