ড. ইউনূস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা : আমি নাকি জেলাস!

আপডেট: জুন ২৫, ২০২৪, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সোনার দেশ ডেস্ক :


টাইম ম্যাগাজিনে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে একটা প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। সরকার তার সব প্রতিষ্ঠান নিয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে নেমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লিখেছে নোবেল প্রাইজের জন্য নাকি দ্বন্দ্ব! আমার জীবনেও নোবেল প্রাইজের জন্য আকাঙ্ক্ষা নেই।

আমার লবিস্ট রাখার মতো টাকাও নেই পয়সাও নেই। আর আমি কখনও এটা চাইনি।
ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যে মামলা সেটা সরকার করেনি। তার বিরুদ্ধে আমরা বা আমাদের গভর্নমেন্ট লাগেনি। কল্যাণ ফান্ডের টাকা না দেওয়ার কারণে শ্রমিকরা মামলা করেছে। মামলা কিন্তু সরকার করেনি। শ্রমিকরা লেবার কোর্টে মামলা করেছে। সেই মামলায় সে শাস্তি পেয়েছে। এখানে আমার কী দোষ?

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
ড. ইউনূসকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, মামলা চললে এজন্য কমেন্ট করতে চাই না। মামলা চলছে কথা বললে সাবজুডিস হবে কি না। কিন্তু যখন প্রশ্ন এসেছে দু’চারটা কথা না বললে মানুষ বোধহয় ভুল বুঝতে থাকবে।

তবে একটা প্রশ্ন তাদের করতে পারেন, যে আমেরিকা হোক বা ইউরোপ হোক যেকোনও দেশে কেউ যদি বছরের পর বছর ট্যাক্স ফাঁকি দেয় তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা সেই সরকার নেয়? তার উত্তরটা কিন্তু এরা দেয়নি। দ্বিতীয়ত শ্রমিকদের নিয়ে এত কথা হয় সেই শ্রমিকদের কল্যাণফান্ডের টাকা! সেই শ্রমিকদের টাকা যদি কেউ না দেয়, মেরে খায় তার বিরুদ্ধে এরা কী ব্যবস্থা নেবে? কী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে?

সরকার প্রধান বলেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে আমরা বা আমাদের গভর্নমেন্ট লাগেনি। বরং আপনাদের মনে আছে, গ্রামীণ ব্যাংকটা তৈরি হয়েছিল জেনারেল এরশাদ সাহেবের আমলে। একজন এমডি খোঁজা হচ্ছিল, তখন ড. ইউনুসকে এনে সেই ব্যাংকের এমডি করা হয়। এই ব্যাংক কিন্তু তার নিজের করা নয়। সে সেখানে এমডি হিসেবে চাকরি করতো এবং বেতন তুলতেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি এমনভাবে প্রচার করেছেন যেন এটা উনার নিজেরই করা।

গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের সংবিধিবদ্ধ সংস্থা : শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। ওই টাকা, বেতন সব কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হতো। তাদের কেউ বাইরে গেলে জিও নিয়ে যেতে হতো। ওই ব্যাংকের আইনেই ছিল ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত একজন এমডি চাকরিতে থাকতে পারবেন। ৬০ বছরের পরেও আরও ১০ বছর তিনি আইন ভঙ্গ করে ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়টি নজরে আনেন। আমাদের অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব ও পররাষ্ট্র উপদেষ্ট গওহর রিজভী তাকে অনুরোধ করেছিলেন আপনার তো বয়স হয়ে গেছে। অবৈধভাবে ইতোমধ্যে ১০ বছরের বেশি আছেন। আপনি এখানে উপদেষ্টা হিসেবে থাকেন। কিন্তু তিনি এমডি পদ ছাড়বেন না। এমডি পদ তাকে রাখতেই হবে। ড. ইউনূস কিন্তু আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে, অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা কিন্তু কখনও সরকার করেনি। সেই দুটি মামলায়ই হেরে যান। এই কথাটা ওই পত্রিকাওয়ালারা লেখেনি।

লেবার কোর্টে শ্রমিকরা কল্যাণফান্ডের টাকা না পেয়ে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও যে তার বিরুদ্ধে যে মামলা সেটাও সরকার করেনি। শ্রমিকদের কল্যাণফান্ডের টাকাটা, ২০০৬ সাল থেকে একটি পয়সা দেয়নি। তখন শ্রমিকরা মামলা করেছে। মামলা কিন্তু সরকার করেনি। শ্রমিকরা লেবার কোর্টে মামলা করেছে সেই মামলায় সে শাস্তি পেয়েছে। এখানে আমার কী দোষ?

৪০০ কোটি টাকা দিয়েছি : তিনি বলেন, গ্রামীণ ফোন সেটা আমিই তাকে (ইউনূসকে) দিয়েছিলাম, এটাও মনে রাখা উচিত। গ্রামীণ ব্যাংক তার আমলে প্রায় কলাপস করে যাচ্ছিল। তখন আমার সরকার ও আমি নিজে প্রথমে ১০০ কোটি টাকা, পরে ২০০ কোটি টাকা ও পরে আরও ১০০ কোটি টাকা, এই ৪০০ কোটি টাকা সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দিয়ে ব্যাংকটাকে চালু রাখতে সহায়তা করি।

তখন তিনি প্রস্তাব দিলেন একটি ফোন পেলে গ্রামের মেয়েদেরকে ফোন দেবেন। এর থেকে লাভটা হবো তা গ্রামীণ ব্যাংকে জমা হবে। সেটা দিয়ে ব্যাংক চলবে। তাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, আজ পর্যন্ত ওই গ্রামীণ ফোনের একটি টাকাও গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে কি না? দেওয়া কিন্তু হয়নি।

গ্রামীণ ব্যাংকের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য অনেক সময় বিদেশ থেকে অনুদান এসেছে, তার কয়টা টাকা গ্রামীণ ব্যাংকে গেছে? প্রতিটি সময় সেটা নিয়ে নতুন একটি ব্যবসা খুলে ব্যবসা করেছেন। কিন্তু কোনও ট্যাক্সই দেননি। তিনি যে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন এটা তো তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন।

কারণ তার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়েছে তিনি কিছু টাকা শোধ দিয়ে বসে আছেন। যখন কিছু টাকা দিল এতে তো প্রমাণ হলো যে তিনি ট্যাক্স ফাঁকি দেন। এমন কি টেলিনর-গ্রামীণ ফোন সেখান থেকেও কয়েক দফায় এভাবে ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে।
তাকে আমরা সবাই মিলে তুলেছি : ড. ইউনূসের উত্থানের পেছনে সরকারের অবদান রয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, এটা ঠিক তাকে আমরা সবাই মিলে তুলেছি। আমরা তাই খুবই প্রমোট করেছি।

এটা ঠিক। এখন সব দোষ আমার! আমি তাকে সব থেকে বেশি দিলাম। এইটুকু কৃতজ্ঞতা তো থাকা দরকার। আজ তিনি যে উঠেছেন, সেখানে সব থেকে বেশি সহযোগিতা আমিই করেছিলাম। তার মাইক্রো ক্রেডিট সামিট- মাইক্রো ক্রেডিট আন্তর্জাতিকভাবে খুব বেশ গ্রহণযোগ্য ছিল না। আমি কো চেয়ার হিসেবে অংশগ্রহণ করি। জাতিসংঘে প্রস্তাব আনি এবং আমি সবাইকে বোঝাই।

কারণ আমিও ভাবতাম যে খুব ভালো, মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করে। কিন্তু ধীরে ধীরে পরবর্তীতে আমরা দেখলাম– এটা দারিদ্রমুক্ত নয়, এটা দারিদ্র লালন-পালন করে। ওই মানুষগুলো দিনরাত কাজ করার পর যে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়, বিভিন্নভাবে প্রায় ৪০/৪৫ ভাগ সুদ দিতে হতো। যশোরের যে এলাকায় হিলারি ক্লিনটনকে নিয়ে যেসমস্ত মানুষকে ক্ষুদ্রঋণ দিয়েছিল সেই পরিবারগুলো এখন কোথায়? খোঁজ করেন।

দারিদ্র্য বিমোচন হলো না কেন? : দারিদ্র বিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংক কোনও ভূমিকা রাখেনি এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামীন ব্যাংক থেকে যারা ঋণ নিয়েছে জমিজমা সব বেচে দিয়ে তারা ওখন থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। অনেকে আত্মহত্যা করেছে এই সুদের চাপে। আমি তাকে টাকা দিয়ে বলেছিলাম এত সুদ না নিয়ে মানুষের জন্য যেন একটু সহনশীল করে দেন। মানুষ সত্যিকার অর্থে যেন দারিদ্র থেকে উঠে আসতে পারে।

.. এতই যদি করে থাকেন তাহলে দারিদ্র্য বিমোচন হলো না কেন বাংলাদেশে? দারিদ্র্য বিমোচন তো করলাম আমি। আজ ৪১.৬ ভাগ থেকে ১৮.৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। মাত্র এই ১৫ বছরে। সে ক্রেডিটও নেয়। সেটাও কোনও কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা লিখে ফেলে, ওই গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক ওই অমুক-সমুক এটা করে ফেলেছে। আমার প্রশ্ন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে ওই দারিদ্রের হার কত শতাংশ ছিল? শেখ হাসিনা আসার পরে কতটা কমেছে। সেটা একটু হিসেব করে বলুন না।

আমি কনটেস্ট করতে যাবো কেন? : নোবেল পুরস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নাকি জেলাস– নিবন্ধে এমন কথাও উঠে এসেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে নাকি লিখেছে নোবেল প্রাইজের জন্য আমার সাথে..। আমার সাথে কারও দ্বন্দ্ব নেই। জীবনেও নোবেল প্রাইজের জন্য আমার কোনও আকাঙ্ক্ষাও নেই। কারণ আমার লবিস্ট রাখার মতো টাকাও নাই, পয়সাও নাই।

আর আমি কখনও ওটা চাইনি। হ্যাঁ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি হওয়ার পরে শুধু আমার দেশ নয়, দেশে-বিদেশে অনেক নোবেল লোরিয়েটরা আমার জন্য লিখেছে। কই আমি তো কখনও তদ্বির করতে যাইনি। কারও কাছে বলতেও যাইনি। কী পেলাম না পেলাম ওইগুলো আমার মাথার মধ্যেও নেই। যিনি অর্থনীতি নিয়ে কাজ করলেন, ব্যাংকের একজন এমডি। তিনি যখন নোবেল প্রাইজ পান তার সঙ্গে আমি কনটেস্ট করতে যাবো কেন?

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি আমি করেছি। পৃথিবীতে যত শান্তিচুক্তি হয়েছে বের করেন! শান্তি চুক্তি হয়েছে কয়টা অন্ত্রধারী আত্মসমর্পণ করেছে? আমি পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু শান্তিচুক্তিই করিনি, এক হাজার ৮০০ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার আমার কাছে অস্ত্র স্যারেন্ডোর করেছে। আমি তাদের সকলকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে পুনর্বাসন করেছি। ৬৪ হাজার শরনার্থী ছিল ভারতে, তাদের ফিরিয়ে এনে প্রতিষ্ঠিত করেছি। শান্তিচুক্তির ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আজ পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এর আগ কী অবস্থা ছিল? শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে কতজন যেতে পারতেন?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ বিদেশে আমার নামে প্রস্তাব দেয়… কই আমরা তো ছুটে যাইনি তাদের কাছে। আমার কাছে অনেকে আসছে। আমি বলেছি না আমার এ সমস্ত পুরস্কারের দরকার নেই। আর আমি দেখছি এই পুরষ্কার যারা পায় তাদের আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু অবদান, সেটা নয়। এখানে আলাদা একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে।

কাজেই ওর মধ্যে আমার কোনও আকাঙ্ক্ষা নেই। আর বলে দিল এটা নিয়ে নাকি আমি উনার ওপরে জেলাসি! শেখ হাসিনা কারও সাথে জেলাসি করে না। শেখ হাসিনা ফাদার অব ন্যাশনের মেয়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। অন্তত এই জায়গাটায় কেউ আসতে পারবে না। সেটাই আমার গর্ব। প্রধানমন্ত্রী এটা তো সাময়িক ব্যাপার। আমি শেখ মুজিবের মেয়ে। আমি দেশও বেচি না। দেশের স্বার্থও বেচি না।

দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই চলি। তার জন্য একবার আগে ক্ষমতায় আসতেও পারিনি। কিন্তু আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আমি এর-ওর কাছে ধর্ণা দিয়ে বেড়াই না। সব থেকে বেশি যে করেছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওনার সাথে আমার জেলাসির কী আছে! সে আসুক না। মাঠে আসুক। চলুক আমার সাথে। আমেরিকায় ডিবেট হয় না? আসুক কথা বলবো।

তারা কি লেবারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন? : নিবন্ধ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সে এখন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামির জন্য এতকথা লেখে কীভাবে একজন সাংবাদিক। ওই্ সাংবাদিককে জিজ্ঞাসা করুন। মামলা করেছে তার লেবাররা। লেবাররা যখন দাবি করেছে, প্রমোশন চেয়েছে, সাথে সাথে স্যাক করে দিয়েছে। পরে তারা মামলা করেছে। আমি তো জানতামও না এটা.. আর লেবার কোর্টের মামলায় শাস্তি পেয়েছে।

তো লেবারদের কী কোনও অধিকার নেই? যারা লেবার নিয়ে এত কথা বলেন, মানবাধিকারের কথা বলেন, এতকিছু বলেন তারা কোথায় এখন? তারা চুপ কেন? তারা এই লেবারদের পাশে কি দাঁড়িয়েছেন? দাঁড়ায়নি। লেবারদের ন্যয্য পাওনা এখন মেরে খাচ্ছে। চুরি করে খাচ্ছে। সেটা বলেছে কখনও?

তিনি বলেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইউরোপে যে কেউ যদি ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, সাথে সাথে তাকে অ্যারেস্ট করবে। তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করে দেবে। এটাই তাদের নিয়ম। সেটা দেখে না। সমানে ট্যাক্সি ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবার তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদায় করতে হচ্ছে। যারা লিখেছে তারা এই অনুসন্ধানটা একটু করুক।

রাজনৈতিক দল করতে গেলো, ব্যর্থ হলো কেন? : ওয়ান ইলেভেনের পর ড. ইউনূসের রাজনৈতিক দল চালুর প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পলিটিক্যাল পার্টি করতে চেয়েছিল সেটাও লিখেছে। ২০০৭ সালে রাজনৈতিক দল করতে গেলো। তাহলে ব্যর্থ হলো কেন? রাজনৈতিক দল করতে পারলো না কেন?

সে যদি গ্রামের মানুষগুলোকে এতই দিয়ে থাকে তাহলে সেই মানুষগুলো তো তার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে। তারা আসেনি কেন? কারণ সুদের চাপে তা মৃতপ্রায় ছিল। সেজন্য তার ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। সেখানে সে ব্যর্থ হয়েছে। সে দায়িত্বও কি আমার? আমি তো তখন জেলে। তিনি তো কেয়ারটেকার সরকার ও সেই সময়কার প্রেসিডেন্টকে এ ডাবল প্লাস দিয়ে আসছে।

বিদেশে ড. ইউনূসের ব্যবসার মূলধন নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন এই যে বিদেশে এত বিনিয়োগের টাকা কোত্থেকে আসছে। কার টাকা? কীভাবে কামাই করেছেন এই টাকা? এটা কাদের টাকা? সেই জবাবটা দিক। সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অবস্থায় বাইরে ব্যবসা করে। আমাদের আইন কী বলে? উনার পয়সা আছে উনি লেখাচ্ছেন। উনি যদি এতই জনপ্রিয় হন তাহলে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি দিতে হবে কেন? তার জন্য সারা পৃথিবী ঝাঁপিয়ে পড়বে। কই আমাকে তো একজনও কিছু বললো না!- বাংলা ট্রিবিউন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version