অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক

আপডেট: মে ৯, ২০২৪, ১০:২৯ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


র‌্যাব-৫ রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার তেঘর এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিজ্ঞপ্তির।

ঘটনা সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, ৯ মে রাত ২:১৫ টায় রাজশাহী মহানগরীর পবা থানাধীন তেঘর সাকিনস্থ মামলার আসামী মো. কাওছার আলী (৩২) ও রশিদুল ইসলাম (৪১) কে আটক করে। এসময় ভিকটিম জুবায়ের আহম্মেদ সীমান্ত (১৫) কে উদ্ধার করা হয়। পরে ধৃত আসামীদের তথ্যে মামলার অপর আসামী মেফতাহুল ইসলাম কিরন (৪২) কে আটক করা হয়।
এসময় মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মোবাইল ও সীমসহ ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী ও ভিকটিমের বড় ভাই সাইমুন ইসলাম শান্ত (২৮) ঢাকায় পূর্বাশা পরিবহণের কাউন্টারে চাকরি করে। সেই সুবাদে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীকারী চক্রের মূলহোতা আব্দুর রশিদ (৪১) এর সাথে পরিচয় ঘটে।

আসামীরা বাদীর বাড়ীতে একাধিকবার বেড়াতে যায়। গত ৮ মে সকাল ৮ টায় আসামী আব্দুর রশিদ (৪১) বাদীর বাড়ীতে বেড়াতে যায় এবং বাদীর বড় ভাইকে খোঁজ করে। একপর্যায়ে বাদীর বড় ভাই বাড়ীতে নাই জেনে বাদীর ছোট ভাই ভিকটিম জুবায়ের আহম্মেদ সীমান্ত (১৫) কে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন কেদারগঞ্জ পাড়াস্থ আলফালাহ জামে মসজিদের পার্শ্বে কাঁচা রাস্তার উপর কৌশলে ডেকে নিয়ে অজ্ঞাতানামা ৩-৪ জন আসামীর সহায়তায় অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

পরে আব্দুর রশিদ বাদীর মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে তা না হলে ভিকটিমকে গুম করে দিবে বলে হুমকি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের মেজো ভাই ফারুক আহমেদ অন্তর (২৬) বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু আইনে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলা দায়ের করে।

একপর্যায়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় অপহৃত ভিকটিম ও অপহরণকারী ও মুক্তিপণ দাবীকারী আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। র‌্যাব-৫ রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গেস্খফতার করে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ