ই-স্বাক্ষর চালু হলে স্বাক্ষর-প্রদানকারী আর অ-স্বীকার করতে পারবেনা: বিসিসি’র নির্বাহী-পরিচালক

আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ণ


তথ্যবিবরণী:


বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার বলেছেন, কোর্ট, ব্যাংকিং খাত থেকে শুরু করে আমাদের অফিস কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। কিন্তু সেগুলোর অথেন্টিকেশন আমরা অনেক সময় হারিয়ে ফেলি; অনেকে স্বাক্ষর করলেও পরে অস্বীকার করেন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন কিনা তা কোর্টে প্রমাণ করাও কষ্টকর হয়। ই-স্বাক্ষর চালু হলে স্বাক্ষর অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না; কারণ যিনি স্বাক্ষর করবেন তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তার স্বাক্ষরটি প্রদান করবেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-স্বাক্ষর এর ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী বিসিসি এ কর্মশালা আয়োজন করে।

রনজিৎ কুমার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে এক সময় আমরা কাটিয়েছে। কিন্তু এই জায়গায় আমাদের একটা বড় ধরনের অর্জন হয়েছে। ডিজিাটল সেবার জায়গাগুলোতে যেমন উন্নয়ন ঘটেছে, সাথে সাথে অপরাধ বিশেষ করে, সাইবার অপরাধও কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট অর্থনীতিতে যে ক্যাশলেস লেনদেনের কথা বলা হয় তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো-ভাবে নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে বিসিসি’র নির্বাহী-পরিচালক বলেন, এই নিরাপত্তার জন্য ই-স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের জাল-সনদ প্রতিরোধে সার্টিফিকেট অথেনটিকেশন’র উপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাজশাহী বিসিসি’র আঞ্চলিক পরিচালক সনৎ কুমার দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ার মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, বিসিসি’র সচিব মো. জাকির হোসেন, বিসসি’র পরিচালক ড. অশোক কুমার রায় প্রমুখ।

কর্মশালায় ই-স্বাক্ষরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও এ ব্যবহার বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে একই স্থানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিভিন্ন অংশীজনের অংশগ্রহণে এক অবিহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।