উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১১ জনকে গ্রেফতারের ১২ ঘণ্টা পর মুক্ত

আপডেট: মে ৭, ২০২৪, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি:


প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করে র‌্যাব।
আটকের ১২ ঘণ্টার মাথায় মঙ্গলবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার-মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আটকের পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যেই টাকা জব্দ করা হয়েছিল সেটি নির্বাচনী ব্যয়ের সীমার মধ্যেই ছিল। জব্দকৃত টাকা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে এবং শাহিনসহ সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর আগে সোমবার (৬ মে) দিবাগত সাড়ে রাত ১২ টার দিকে সুজানগরের চর ভবানিপুর মুজিব বাঁধের ওপর থেকে তাদের আটক করে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার (৭ মে) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর মো. এহতেশামুল হক খান জানিয়েছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজনের অংশ হিসেবে টহলরত অবস্থায় শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। এসময় শাহিনের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭শো টাকা জব্দ করা হয়। টাকাগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে শাহিনুজ্জামান শাহীন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। আটকদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে, তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এদিকে শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ আটক ১১ জনের মুক্তির দাবিতে সোমবার মধ্যরাতে ও মঙ্গলবার সকাল থেকে সুজানগর পৌর সদরের প্রধান সড়ক ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সমর্থক নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা সুজানগর থানার সামনে সুজানগর বাজারের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুরের পর মুক্তির খবর সেখানে পৌঁছালে আনন্দে মেতে উঠেন নেতাকর্মীরা। পরে অবরোধ ও ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করেন।

মুক্তি পাওয়ার পর শাহিনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী সকল ব্যয় পরিশোধের জন্য টাকাগুলো আনা হচ্ছিল। এটা কোনো অসৎ উপায়ের জন্য ব্যবহার হচ্ছিল না। সম্পূর্ণ বৈধ টাকা। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিজয় ঠেকাতে আমার রাজনৈতিক প্রতি-পক্ষরা শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে-ষড়যন্ত্র করে আসছে। এই ঘটনা তার বহিঃপ্রকাশ।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র্যাব ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে কাজ করি। সকল তথ্য যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আগামীকালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৮ মে পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আনারস প্রতীকের শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব (মোটরসাইকেল)।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ