এমপি শাহরিয়ার আলমের উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের প্রতিবাদে বিবৃতি

আপডেট: জুলাই ১, ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ণ

এমপি শফিকুর রহমান বাদশা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :


শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে হত্যাকারী আখ্যা দিয়ে রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শফিকুর রহমান বাদশা।

এক বিবৃতিতে সংসদ সদস্য বলেন, গত কিছুদিন আগে বাঘায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি..রাজিউন)।

মরহুমের জানাযায় নামাজে অংশ নিয়ে বাঘা-চারঘাটের বর্তমান এমপি শাহরিয়ার আলম এ হত্যার জন্য জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ ও আরও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম উল্লেখ করে ‘হত্যাকারী অ্যাখ্যা’ দিয়ে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

শাহরিয়ারের এ বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের এর সাথে লক্ষ্য করছি যে, আধুনিক রাজশাহীর রুপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে জনবিচ্ছিন্ন, সুযোগ সন্ধানী হাইব্রিড নেতারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।

সকল অপচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পরে তারা লাশ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। অথচ আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আহত হওয়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে বাবুলের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেন এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। নিহতের সন্তানদের অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে পাশে দাঁড়ান।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন বাঘা উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত হন বাবুল। বুধবার বিকালে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির বাড়তি টাকা আদায়কে সমর্থন দেয়া বা না দেয়া। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ