কিশোরী ধর্ষণের পর ভিডিও, সাত বছরের কারাদণ্ড

আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২৩, ৮:৪৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনটি ধারায় এই সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ জরিমানা অনাদায়ে আরও নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী-সাইবার-ট্রাইব্যুনাল-আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিনটি ধারায় আসামিকে এই সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া ধর্ষণের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম সিরাজুল ইসলাম শিরু (৫৬)। তিনি পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার মৃত মসলেম খলিফার ছেলে। ঘটনাটি চাটমোহর এলাকার।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট সিরাজুল ইসলাম শিরু বাড়িতে একা পেয়ে ভুক্তভোগী ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে গলায় ধারালো চাকু ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন রাখেন শিরু। আর এ ঘটনা কাউকে জানালে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেবে এবং কিশোরী ও তার ছোট ভাইকে খুন করে মরদেহ গুম করার হুমকি দেয় শিরু।

পরবর্তী সময়ে কিশোরীর বিয়ে ঠিক হলে শিরু হবু বরের কাছে ধর্ষণের ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে শিরুর নামে পৃথক দুইটি মামলা করে।

পিপি বলেন, এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচার শুরুর পর আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সিরাজুল ইসলাম শিরু দোষী সাব্যস্ত হন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে আদালতের নির্দেশে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় পুলিশ বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ