চারঘাটে নদীর বামতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজে অনিয়ম, এলাকাবাসীদের প্রতিবাদে পালিয়ে গেলো শ্রমিকরা

আপডেট: জুন ১৬, ২০২৪, ৬:৫৯ অপরাহ্ণ


চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদী সংলগ্ন চন্দনশহর সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পিরোজপুর চন্দনশহর সংলগ্ন নদীর বামতীরে প্রায় শো মিটার অংশের পূর্ব সর্তকতামূলক নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজের অনিয়মে স্থানীয় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী এই অভিযোগ করেন। অভিযোগে তারা বলেন, পদ্মা নদীর জিও ব্যাগ ভর্তি বালু নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে শ্রমিকরা বস্তা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এগুলো নিয়মিত দেখাভাল করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন এন্ড কোং, খুলনা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহী থেকে তদারকি করার কেউ নেই বলে জানান এলাকাবাসী।

শনিবার (১৫ জুন) সংন্ধ্যায় উপজেলার চারঘাট ইউনিয়ন এর রাওথা সংলগ্ন চন্দনশহর নদীর তীরবর্তী এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ওইদিন বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য প্রায় ২৮ জন শ্রমিক কাজ করছিল। নদীর চর থেকে বালু নিয়ে চন্দনশহর নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলানোর কথা কিন্তু নদী তীরে না ফেলে বস্তা কেটে পানিতে ফেলছিল। এমন অবস্থায় এলাকার মাঝি রমজান নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় কাটা বস্তা ফেলে দেয়ার বিষয়টি দেখতে পান। কৌতুহল বশত: তিনি শ্রমিকদের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার কোনো কিছু না বলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

সন্দেহ হলে মাঝি রমজান স্থানীয় ইউপি সদস্য (৮নং) হাফিজ ও এলাকাবাসীদের সংবাদ দেন। এলাকাবাসী সংবাদ পেয়ে নদীরে চরে গিয়ে কর্মরত শ্রমিক সরদার আলমসহ ৪ জন শ্রসিক ও নৌকা মাঝিকে ধরে রাখে এবং নদীর চর সংলগ্ন পানি থেকে কয়েক হাজার ফাঁকা কাটা বস্তা উদ্ধার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রমিক সরদার আলম বলেন, বরাবরের মতো সকালে শ্রমিকদের বালু ভর্তি করার জন্য বস্তা দেয়া হয়। কিন্তু তারা বালু ভর্তি বস্তা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এ বিষয়ে আমি অবহিত ছিলাম না। তবে নদীর চরে কাটা বস্তা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। পরে ইউপি সদস্য হাফিজের জিম্মায় নৌকা মাঝিসহ শ্রমিকদের ছেড়ে দেন এলাকাবাসী।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর ব্যবস্থাপক এসাহকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বালু ভর্তি বস্তা কাটার ঘটনা তিনি শুনেছেন এবং লেবারদের এধরনের অনিয়ম খুবই দুঃখজনক। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিদর্শনের মাধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মুঠোফনে প্রকল্পের এসও মাহবুব রাসেল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহীর কার্যসহকারী মো. লিয়াকত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ