চিরকুটে ফোন নম্বর লিখে মিটার চুরি, বিকাশে টাকা দিলে ফিরিয়ে দেয় মিটার!

আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ

 

চিরকুটে ফোন নম্বর
আদমদীঘি প্রতিনিধি:বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। রাত হলেই কোনো না কোনো এলাকার মিটার চুরি যাচ্ছে। মিটার চুরির পর চোরেরা ফেলে যাচ্ছে একটি চিরকুট। চিরকুটে মোবাইল ফোন নম্বারের সাথে লেখা ‘মিটার চোর’। সেই নাম্বারে নগদের মাধ্যমে ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা পাঠানোর পর পাওয়া যায় মিটার।

চিরকুটে ফোন নম্বর  বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের গভীর নলকূপে এক রাতে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর চিরকুটে ফোন নম্বর রেখে যায় সংঘবদ্ধ চোরচক্র। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বন্তইর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক রফিক ও শাহজাহান আলী জানান, একরাতেই উপজেলার বন্তইর, হাউসপুর ও বরিয়াবার্তা গ্রামে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। চোর চক্র মিটার চুরির পর চিরকুটে ফোন নম্বর রেখে যায়। সেই চিরকুটে আবার ছোট করে ‘মিটার চোর’ শব্দটিও উল্লেখ করা হয়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটারের দাম ১৪ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এদিকে পরের দিন সকালে এসব চুরি যাওয়া মিটারের মধ্যে বন্তইর গ্রামের একটি ফসলি মাঠের জমিতে খড়ের স্তুপের মধ্যে ওই গ্রামের বেলাল নামের এক ব্যাক্তির বৈদ্যুতিক মিটার পাওয়া যায়।

উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম, মিতইল, বেজার ও কড়ই বাজার গ্রামে গত দুই সপ্তাহারে ব্যবধানে ১৪ টি মিটার চুরির পর চিরকুটে মোবাইল নাম্বার লিখে ফেলে যায় চোরেরা। পরবর্তীতে চোরের চাহিদামত টাকা দিলেই পাওয়া যায় চুরির মিটার।

উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের একাধিক মিটার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের মিটার চুরির পর ওই স্থানে একটি চিরকুটে ফোন নম্বর রেখে যায় চোর । যে চিরকুটে লেখা থাকে মিটার চোর ও একটি মোবাইল নাম্বার। ওই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে চোরেরা বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ দাবি করে। সেই অর্থ পরিশোধের পর তারা বলে দেয় চুরিকৃত মিটার কোথায় রাখা আছে। এছাড়াও যদি তারা থানায় অভিযোগ করে তাহলে আবারও তাদের মিটার চুরির হুমকি দেয় চোরেরা।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করে নি। তবে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয় ১০ টি মিটার চুরির কথা। কোনো অভিযোগ না পেলেও পুলিশ মিটার চুররি এই চোর চক্রকে ধরতে চেষ্টা করছে।