ঢাকায় আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সভার আয়োজন করলো আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত

আপডেট: নভেম্বর ১৯, ২০২৩, ১২:২৪ অপরাহ্ণ


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :


শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৩:৩০ টায় ঢাকার বকশী বাজারস্থ আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত বাংলাদেশের ন্যাশনাল আমীর আলহাজ্জ মওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী। অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে।

মানবতার এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের প্রত্যেকের বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানবতাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে পারে। উপরোক্ত পরিস্থিতিতে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত, বাংলাদেশ “অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায়” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

যেখানে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিগণ নিজ নিজ ধর্মের আলোকে ‘অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায়’ শিরোনামের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এতে বক্তাগণ ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্বের জন্য যে উদ্বেগজনক হয়ে পড়েছে তা উল্লেখ করেন। এছাড়া ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে সংঘাতের প্রশমনের জন্য বিশ্ব আহমদীয়া খলীফা হযরত মির্যা মসরূর আহমদ-এর বাণী উপস্থাপন করা হয়।

আহমদীয়া জামাতের বক্তাগণ বলেন, ইসলাম সকল ধর্মের অনুসারীদের সাথে সৌহার্দ্যময় সম্পর্কের কথা বলে। এছাড়া ইসলামের আকর্ষণীয় শিক্ষার প্রচার ও প্রসার জোর-জবরদস্তি এবং বল প্রয়োগে নয় বরং সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির দ্বারা মানুষের হৃদয় জয় করার মাধ্যমে সম্ভব। বক্তাগণ বলেন- ইসলামে শত্রুদের সাথেও দয়ার্দ্র আচরণ করে, তা শান্তিকালীন সময়েই হোক বা যুদ্ধাবস্থায়ই হোক। সর্বাবস্থায় ইসলাম অমুসলমানদের অধিকার মর্যাদার সাথে সংরক্ষণ করে। বিদ্বেষ ছড়ানো ও আক্রমণের অধিকার ইসলামে নেই।

তারা আরো বলেন- সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের একটা বড় কারণ হল-অন্য ধর্মের অনুসারীদের অসম্মান করা। আহমদীয়া ন্যাশনাল আমীর বলেন- ‘নিরঙ্কুশ ন্যায় বিচার’- এই একটি শ্লোগান-ই পৃথিবীকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম”।

অনুষ্ঠানে আহমদীয়া জামাতের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্জ আহমদ তবশীর চৌধুরী, প্রফেসর ডঃ আব্দুল্লাহ শামস বিন তারেক এবং আহমদীয়া ন্যাশনাল আমীর আলহাজ্জ মওলানা আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরী। শেষে তারা আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত, কর্তৃক ৭৬টি ভাষায় অনুদিত পবিত্র কুরআন প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ ও অভিভূত হন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।