দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট প্রদর্শনীতে তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড়

আপডেট: মে ৬, ২০২৪, ৮:৩০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে ‘বরেন্দ্রপেক্স-২০২৪’ শিরোনামে দুই দিনব্যাপী দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি। সোমবার (৬ মে) এই প্রদর্শনীর সমাপনীর দিনে তরুণ-তরুণীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তারা প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত ডাকটিকেট, বিশেষ খাম, স্ট্যাম্প, কয়েন, পুরানো দিনের দিশলাই সহ বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে ঘুরে দেখেন, আয়োজকদের প্রশ্ন করেন এবং আয়োজকরাও সহস্যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

সামর্থ্য অনুযায়ী দর্শকরা ডাকটিকেট সংগ্রহ করেন। এই প্রদর্শনীতে ২৫ জন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক তাদের সংগ্রহ প্রদর্শন ও বিক্রিও করেছেন। প্রদর্শনীতে পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান সময়ের সব ডাকটিকিটই রয়েছে। এছাড়াও দেয়ালে দেয়ালে প্রদর্শন করা হচ্ছে অনেক পুরনো চিঠির খামও। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে এসব দেখছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী কানিজ ফাতেমা দেখতে এসেছেন ডাকটিকেট প্রদর্শনী। তিনি অস্থায়ী পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের যুগে ব্যক্তিগত চিঠি পাঠাতে পেরে আনন্দিত হয়েছেন এই ছাত্রী। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত ৩ হাজার বিশেষ খাম ও পোস্ট অফিসে ১৫ হাজার স্ট্যাম্প বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ৬০০টি রেজিস্ট্রি করা চিঠি জমা হয় পোস্ট অফিসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. উদয় শংকর বিশ্বাস।

জানতে চাইলে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. উদয় শংকর বিশ্বাস সোনার দেশকে জানান,‘ডাকটিকিট সংগ্রহ বড় শখ ও নেশা। ডাকটিকিট দেশ, জাতি ও সভ্যতা সম্পর্কে তথ্য দেয়। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অতীতের জীবনধারা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়। দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে ৩ হাজার বিশেষ খাম ও অস্থায়ী পোস্ট অফিসে ১৫ হাজার স্ট্যাম্প বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ৬০০টি রেজিস্ট্রি করা চিঠি জমা হয়েছে পোস্ট অফিসে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মোবাইল-ফোন আর ইন্টারনেটের যুগে প্রবীণদের জন্য এই ডাকটিকিট এখন শৈশবের স্মৃতি। সেই স্মৃতিময় ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এ আয়োজন।’
প্রদর্শনীতে দেখা গেছে, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের প্রথম প্রকাশিত ডাকটিকিট সংগ্রাহক আহসান-আল-আমিন। এটি ছিল ২০ পয়সার, এই ডাকটিকিটের উপর উড়ছে ৬টি পায়রা। এছাড়াও স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশকে নিয়ে যে আটটি ডাকটিকিট ছাপানো হয়েছিল তার সংগ্রহ রয়েছে মাহবুবুর রহমানের কাছে। ওই ডাকটিকিটগুলো ১০ পয়সা, ২০ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ রুপি, ২ রুপি, ৩ রুপি, ৫ রুপি ও ১০ রুপি হিসেবে ছাপানো হয়েছিল। এগুলো কোনটিতে কোন বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তিনি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বর্ণনা করছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ