ধরা পড়েছে ঘাতক হাতিটি

আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২৩, ১১:৩১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


টানা চার ঘণ্টার চেষ্টায় ধরা সম্ভব হয়েছে সার্কাস থেকে পালিয়ে আসা ঘাতক হাতিটি। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হাতিটি বাধতে সক্ষম হয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের অধিদপ্তরের কর্মীরা। এর আগে চেতনা নাশক ইঞ্জিকশন পুশ করা হয় হাতিটিকে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে এই হাতির আক্রমণে প্রাণ যায় নাচোলে মুসাব্বির (১২) এবং বিকেলে তানোরের মুন্ডমালায় রামপদ নামের এক আদিবাসী যুবককের। পরে নাচোল থেকে হাতিটি তানোর উপজেলার ধামধুম এলাকায় অবস্থান নেয়। রাতে সেই এলাকা থেকে পালিয়ে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের বাধারী ইউনিয়নের বৌদ্ধপুর এলাকার পুরানো কবরস্থানে অবস্থান নেয় হাতিটি। ফলে কবরস্থানকে ঘিরে হাতিটিকে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে। তাদের সরাতে বেগ পতে হয় স্থানীয় প্রশাসনকে।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, সকালের দিকে হাতিটি কবরস্থানে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। লোকজনের উপস্থিতিতে সে ভেতরে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে যায়। এরপরে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ ও থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে আসে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মীরা। তারা নিরাপদ দূরত্ব থেকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চেতনানাশক পুশ করে হাতিটিকে।

হাতি পরিচালনাকারী মাহুত বলেন, এই হাতিটিকে আমরা লক্ষ্মী বলে ডাকি। হাতিকে বেঁধে ফেলা হয়েছে। তবে এখনও বলা যাচ্ছে না পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে কিনা। তবে হাতিটিকে বসে আনতে হলে এখানে তিন থেকে চারদিন রাখতে হবে। তাকে খাওয়া দাওয়া করানো ছাড়াও যত্ন নিতে হবে। এরপরে সুবিধাজনক সময়ে হাতিকে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, চেতনা নাশক ইনজেকশন দেয়া হয়। এরপরে হাতিটি রশি ও লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা হয়েছে। এখানে রাতে থাকবে। এরপরে মালিকরা হাতিটিকে নিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। তবে হাতিটি ধরা সম্ভব হয়। আমরা স্থানীয়দের অনুরোধ করেছি তারা যেন হাতিটিকে বিরক্ত না করে। তারা সুবিধা মত সময়ে হাতিটিকে নিয়ে চলে যাবে।