নওগাঁর ধামইরহাটে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী লাঞ্ছিত

আপডেট: মে ৫, ২০২৪, ১:১২ অপরাহ্ণ

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:


আসছে ৮মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রথম ধাপে নওগাঁর ধামাইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়া এক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা অপর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাধা ও হুমকি-ধামকির অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (৩ মে) নির্বাচনী প্রচারকালে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গণসংযোগকালে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মি-সমর্থক কর্তৃক শারীরিক লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করতে পারেনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৮মে অনুষ্ঠিতব্য ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে আলমপুর ইউনিয়নের ভেডম মোড়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাসের মো. আফজাল হোসেন নিজে গণসংযোগ করছিলেন।

এমন সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আজাহার আলীর ভাগ্নে সম্পর্কীয় ভেডম গ্রামের মো. মহাসিনের ছেলে মো. আবু মুসার নেতৃত্বে ১০/১২ জন গুন্ডাবাহিনী আক্রমণ করে আটক করে রাখে এবং শারীরিক ভাবে আঘাত ও লাঞ্ছিত করে। উত্তেজিত জনতা বাধা দিয়ে গুন্ডাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজাল হোসেন মোবাইল ফোনে জানান, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গণসংযোগকালে অভিযুক্ত আবু মুসা আমার দুই বোনকে নিজ বাড়িতে দুই ঘণ্টা আটক করে রেখে ভয়-ভীতি দেখিয়েছিল। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। শুক্রবারের ঘটনাও পূর্ব পরিকল্পিত ছিলো যা আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আজাহার আলীর সরাসরি নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে মর্মে প্রমাণিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আজাহার আলী ঘটনা ঘটিয়ে সাধারণ ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছেন।

তিনি আরো বলেন, গণসংযোগ চলাকালে একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে আঘাত ও লাঞ্ছিত করে যারা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে, সেই সসব দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আমিসহ সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা প্রদান ও নির্বাচনী সুষ্ঠু পরিবেশ বজার রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো।

আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আজাহার আলী মোবাইল ফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। বরং নির্বাচনী মাঠে তার ইমেজ নষ্ট করতেই প্রতিপক্ষ প্রার্থী এমন নাটক সাজিয়েছেন। আমি এমন নাটকের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী মোবাইল ফোনে জানান, অভিযোগটি পাওয়ার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবু সাইদ নামের আনারস প্রতিকের এক সমর্থককে থানায় ডাকা হয়েছিলো। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ