নিবন্ধন সনদ জমা না দিয়ে সময়ের আবেদন করলেন রাণীনগরের সেই অভিযুক্ত শিক্ষিকা ময়না খাতুন

আপডেট: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ৮:৪১ অপরাহ্ণ


নওগাঁ প্রতিনিধি:


নওগাঁর রাণীনগরে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরির অভিযোগ উঠার পর তদন্ত শুরু করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদসহ সকল কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিতে চিঠি করা হয়। সেই চিঠির তারিখ মতো তিনি তার কাগজপত্র জমা না দিয়ে তিনি সময়ের আবেদন করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।

জানা যায়, কিছু পত্রিকায় নওগাঁর রাণীনগরের মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোছা. ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে শিক্ষা কর্মকর্তাগণ। শুরু হয় ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের যাচাই প্রক্রিয়া। সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষিকা, তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সেই চিঠিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এর মধ্যে তার সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই সময় শেষ হওয়ার আগেই রোববার (২১এপ্রিল) শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে গিয়ে প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম তাদের কোনোভাবে পাত্তা না দেয়ায় তিনি সময় চেয়ে আবেদন করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, তার এই সময়ের আবেদন করায় আমাদের মনে নতুন ভাবে সংশয় দেখা দিয়েছে। যেখানে তিনি নিজেই অফিসে গেলেন সেখানে তিনি তার কাগজপত্র জমা দিতে পারতেন। তার সনদ যদি সঠিক হবে তাহলে তিনি কেন তার সনদের কপি জমা না দিয়ে সময়ের আবেদন করলেন? কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবি জানায় দ্রুত তার সনদটি যাচাইয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুন বলেন, আমি সময়ের আবেদন দিয়েছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আগামী রোববার পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। এরমধ্যে কাগজপত্র জমা দিয়ে দিবো।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদসহ অন্যান্য সকল কাগজপত্র জমা দিতে বলেছি। কিন্তু তিনি তার কাগজপত্র না নিয়েই আমার অফিসে আসে। সেখানে তিনি নতুন করে আবারও সময়ের আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং আগামী রোববার পর্যন্ত তাকে সময় দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে তিনি কাগজপত্র জমা না দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ