নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না : রাশেদা সুলতানা

আপডেট: মে ২, ২০২৪, ৮:৪৯ অপরাহ্ণ

প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা

পাবনা প্রতিনিধি:


নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনোরেকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেয়া না। তিনি এমপি মন্ত্রী যেই হোক। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ-সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পাবনা জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান-অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে সাধারণ-মানুষের কাছে হেনস্তা করবে, নির্বাচনকে কলুষিত করবে, দেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের কোনও কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দেশের নিদারুণ বাস্তবতা হলো ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভাল নেই। তাই ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে ওইদিন চলে গেছে। তাই প্রার্থী যারা আছেন তারা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচনী আইন মেনে প্রচারণা করেন। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মূল্যে ভাল ভোট করবে।’

রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির সিইও গোলাম কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত মতবনিমিয় সভায় পাবনা জেলার ৯টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রার্থীরা তাদের নানা অভিযোগের কথা তুলে ধরে সমাধানের দাবি জানান। সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, ‘সুজানগর পৌরসভার বর্তমান মেয়র একটি সভায় বলেছেন ভোট দিতে হবে, না হলে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হবে।

তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা হয়েছে। মোবাইলে ভোটারদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ লিখিতভাবে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’

চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করা হচ্ছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুলাল মির্জা এমপির লোক, এমপির প্রার্থী। আপনি ভোট পাবেন কিভাবে। ভোট তো ওরা সব নিয়ে নেবে। প্রার্থীকে এমপির লোক বলে প্রচারণা চালানো বন্ধের দাবি জানান তিনি।’

ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ করেন, ‘দু’জন শিক্ষককে বিশেষ লোকের নাম বলে দু’টি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর সভায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন শুরুর আগেই তো প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার চলছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।’

ইভিএম কক্ষে যেন প্রভাবশালী মহল কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে ভোটারদের বাধ্য করতে না পারে সে বিষয়টিও কঠোরভাবে দেখার দাবি জানান ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী খলিলুর রহমান সরকার।

‘কোনো ঘটনা ঘটলে বা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে শুধু আমরা অভিযোগ দেবো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা নির্বাচন কমিশনের লোকজনের কি কোনো দায়িত্ব নেই।’-এমন অভিযোগ ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেছবাহুর রহমান রোজের।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ