পদ্মার চরে তাপদাহে মরে যাচ্ছে ফসল

আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৮:১০ অপরাহ্ণ


আমানুল হক আমান, বাঘা:


রাজশাহী বাঘায় বৃষ্টির অভাবে পদ্মার চরে তাপদাহে মরে যাচ্ছে যাচ্ছে বিভিন্ন ফসল। কাক্সিক্ষত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে একাধিকবার সেচ দিয়েও খেতের ফসল বাঁচাতে পারছেন না কৃষকরা।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছর ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বর্গাচাষি সাজদুল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। কিন্তু অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরতাপের কারণে তার জমির পাটগাছ মরে যাচ্ছে। তার জমির বেশির ভাগ পাটগাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিন উপজেলার চকরাজাপুর পদ্মার চরে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার চরে রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা জমিতে আবাদ করা পাট, ভূট্টাসহ বিভিন্ন ফসল। এরমধ্যে ভালো দামের আশায় এ বছর পাটের আবাদ বাড়লেও পানির অভাবে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। চলতি মৌসুমে জমি বর্গা নিয়ে তিন বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন, কালীদাশখালী চরের আশরাফুল ইসলাম। অনাবৃষ্টি আর প্রচন্ড খরতাপে জমির বেশিরভাগ গাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের ভূট্টা চাষী আমিরুল ইসলাম সড়কঘাটের নিচে কালিদাসখালী পদ্মার চরে আড়াই বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন। বৃষ্টির অভাবে তার জমির অধিকাংশ ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি খুব চিন্তায় আছেন বলে জানান, কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। মাঠঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষরায় পাটগাছের পাতা শুকিয়ে কুচকে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় বৃষ্টি না থাকায় মাঠে ফসল রোপণ করা আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে পদ্মার বালু চরে যে আবাদ হবে, সেই আবাদ না করে চাষীরা অন্য আবাদ করে অনেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চরে বাদামের আবাদ করলে হইতো এই ক্ষতিটা চাষীদের হতো না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ