পাবনায় দুই দিনের ব্যবধানে মণে পেঁয়াজের দাম কমলো ২ হাজার টাকা !

আপডেট: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ১০:৪৬ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি:


অবশেষে পেঁয়াজ উৎপাদনের জেলা হিসেবে পরিচিত পাবনায় পাইকারী বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুইদিনের ব্যবধানে গড়ে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম কমেছে দুই হাজার টাকা। দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসাযীরা। আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের এই দরপতন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম হাটে এই দামে পাইকারী পেঁয়াজ কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এদিন প্রতি মণ মুড়ি কাটা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। আর পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা।

এর আগে গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) পাইকারী বাজারে পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৭ হাজার টাকায়। আর নতুন মুড়ি কাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয় প্রতি মণ ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়।

মুলত নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করার ঘোষণায় দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার বনগ্রাম হাটে কথা হয় জেলার সুজানগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আকবর আলীর সাথে। তিনি বলেন, দেড় বিঘা জমিতে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছি। আজ হাটে পেঁয়াজ আনছিলাম। প্রতি মণ সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, নতুন পেঁয়াজ প্রতি মণ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আর পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। দুই-একদিনের মধ্যে দাম আরো কমে যাবে। এখন আমদানী হচ্ছে। প্রতিদিন দাম কমতে থাকবে বলে জানান তিনি।

এদিকে দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম খুব বেশি কমেনি। মঙ্গলবার পাবনার বড় বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। যেটি দুইদিন আগে ১১০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আর পুরোনো পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুইদিন আগে ছিল ২০০ টাকা।

ঢাকার পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, শনিবার পাবনার চিনাখড়া বাজার থেকে নতুন পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৭ হাজার টাকা মণ দরে। আর আজ কিনলাম ৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ প্রতি মণে কমেছে ২ হাজার টাকা। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দর পতনে তাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে।

আব্দুল কুদ্দুস নামের এক পাইকার ব্যবসায়ী জানান, হাটে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। সরবরাহ বেশি হলে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। তারা ইচ্ছা করে দাম বাড়াতে পারেন না। এটা চাহিদা ও আমদানির ওপর নির্ভর করে। মূলকাটা বা মুড়ি পেঁয়াজের মৌসুম পুরোদমে শুরু হলে দাম এমনিতেই কমে আসে।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন জানান, এ বছর পাবনায় ৫৩ হাজার ২৭ হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৬৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮শ মেট্রিক টন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ