রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পুকুর খননের সময় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্যের মৃত্যু
পাবনা প্রতিনিধি:পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি থেকে এস্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর খননের সময় বৈদ্যুতিক লাইনে শর্ট লেগে শামীম হোসেন ছানু (৪৫) নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুরে ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম রবুর মাটির খাদে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীম হোসেন ছানু উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত আবুল মুন্সীর ছেলে। তিনি দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর পর তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন ধরে পুকুরে মাটি কাটার কাজ করছিলেন রবু মেম্বার। তার সাথে শ্রমিকের কাজ করছিলেন শামীম হোসেন ছানু। বৃষ্টির মাটি কাটা পুকুরে পানি জমে জলাবদ্ধতা হওয়ায় পানি সেচ দিতে যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্যের শামীম হোসেন ছানু।এসময় তিনি আর ফিরে আসেননি৷ স্থানীয়রা সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে৷ পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরিবারের লোকজন জানান, শামীম পুকুরের পানি সেচের জন্য ইলেকট্রিক সেচ পাম্প লাগায়। পরে সেচ পাম্পে সমস্যা দেখে নিজেই ইলেকট্রিক তারে হাত দেযন। তারটি লিক থাকায় শর্ট সার্কিট হয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় এক মাস ধরে অন্তত দশ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খনন করার কাজ করছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম রবু মেম্বার। সম্প্রতি স্থানীয়রা পুকুর খননে বাধা দিতে গেলে নানা রকমের হুমকি ধামকি ও মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে সোহেল রানা নামের এক যুবক জানান, রফিকুল ইসলাম-রবু মেম্বার পুকুর খনন করে করেই চলেন। পুলিশ আসলে পালিয়ে যায় সকলে। আবার চুরি করে মাটি উত্তোলন করেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
তবে এ সকল বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম রবু মেম্বার বলেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম। মাত্র উঠে শুনে দেখি একজন মারা গেছে। এ ঘটনায় কারো কোন হাত নেই। এটি একটি অপমৃত্যু।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা নাকি অপমৃত্যু। পরিবার কোনো অভিযোগ দেযনি। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।