পুঠিয়ায় নতুন রূপে সাজছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম

আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ২:৫১ অপরাহ্ণ


আকাশ ঘোষ, পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি :রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ ক্রীড়া পাগল অনেক আগ থেকেই। যে কারণেই নির্মিত হয় উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম। কিন্তু স্টেডিয়াম পরিত্যাক্ত থাকায়, খেলাধুলা বা খেলা উপভোগ করার পরিবেশ ছিল না। বর্তমান সরকার উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে চলছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম তৈরি হওয়া খুশি এলাকাবাসী।

গ্রাম পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, পাবনা জেলার আটঘরিয়া এবং নাটোর জেলার সদর ও গুরুদাসপুর উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ চলছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ কাজ শেষে চলছে গ্যালারির কাজ।

এই ৪ টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে ২০ কোটি ৫২ লক্ষ ২২ হাজার ৬১৭ টাকায় টেন্ডার প্রাপ্ত হয়ে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লি.। এই কাজটি ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। আর কাজটি বাস্তবায়ন করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই স্টেডিয়ামগুলো নির্মাণ কাজ শেষ হলে খেলোয়াড়রা খেলাধুলার সুযোগ পাবে। দর্শকরাও গ্যালারিতে বলে খেলাধুলা উপভোগ করার সুযোগ পাবে।

রাজশাহী অঞ্চলের চারটি স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করে, মাঠের সকল কার্যক্রম শুরু করার পদক্ষেপ নেবে কর্তৃপক্ষ এমটিই প্রত্যাশা এই এলাকার ক্রীড়া প্রেমিকদের।
স্টেডিয়ামে নির্মাণ হওয়ায় খুশি স্থানীয় ক্রীড়া প্রেমীরা বলেন, পুঠিয়া স্টেডিয়ামটা দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত ছিলো। কোনো সংস্কার কাজ ছিলো না। নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত কার্যক্রম শেষ হবে। স্টেডিয়ামটি নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলে এলাকার তরুণরা খেলা ধুলার সুযোগ পাবে এবং এখান থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেক খেলোড়ার তৈরি হতে পারে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মারুফ হোসেন দৈনিক সোনার দেশ’কে জানান, যুব ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে। আমরা ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ চারটা কাজ পেয়েছি, পুঠিয়া ছাড়াও পাবনার আটঘরিয়া এবং নাটোর সদর ও গুরুদাসপুর। পুঠিয়ায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশাবাদি জুনের মধ্যে আমাদের এই চারটা স্টেডিয়ামের কাজ সম্পন্ন হবে। এই চারটা প্রজেক্টের বাজেট হচ্ছে ২০ কোটি ৫২ লক্ষ ২২ হাজার ৬১৭ টাকা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর সোনার দেশ’কে জানান, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহী অঞ্চলে চারটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি হচ্ছে পুঠিয়া উপজেলায়। এর আগে মানসম্মত কোনো স্টেডিয়াম না থাকায় ক্রীড়ার যে উন্নয়ন সেটা ব্যহত হচ্ছিল। এই উপজেলা পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হচ্ছিল না।
কিন্তু বর্তমানে স্টেডিয়ামটা হওয়ার কারণে সুন্দর একটি প্লাটফর্ম পাবো। উন্নত জাতি গঠনে অবদান রাখতে পারবো। এবং ভালো ভালো খেলোড়ার পুঠিয়া থেকে তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামের তিন ভাগের মধ্যে দুই ভাগের কাজ শেষ। তিনটি গ্যালারি নির্মাণ করা হয়েছে। মাঠ সংস্কারসহ বাকি কাজ আগামী জুন-জুলাইয়ে মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এরপরই আমরা মাঠটি ব্যবহারের উপযোগী তৈরি করতে পারবো।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ