পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন তিন হেভিওয়েট প্রার্থী

আপডেট: মে ৭, ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ


পুঠিয়া প্রতিনিধি:


আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আগামী ২১ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশে ৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিলেও প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন মকলেছুর রহমান। তাই নির্বাচনে ত্রিমুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

সারাদিন ভোটের মাঠে প্রার্থীদের দেখা না গেলেও বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাট-বাজার, চায়ের স্টল, পাড়া- মহল্লায় ভোট প্রার্থনা করছেন তারা। দিনের বেলা কেবল মাইকে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। সময় গড়ানোর সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুঠিয়া উপজেলার প্রতিটি প্রার্থী এখন ব্যস্ত ভোটের মাঠ দখল নিতে। প্রার্থীরা প্রতিদিন কাটাচ্ছেন তাদের নিজস্ব প্রচার-প্রচারণা নিয়ে।

কে হবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আর কে বা হবে ভাইস ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান। সেটা দেখার অপেক্ষায় আছে এ উপজেলার জনসাধারণ। তবে ফলাফল যাই হোক না কেন চেয়ারম্যান পদে লড়াই হবে ত্রিমুখী এমনটা বলছে উপজেলার সাধারণ জনগণ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী না দেওয়ায় যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে এই নির্বাচনে। তাই আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট তিন প্রার্থী লড়ছেন এই নির্বাচনে। আ’লীগের সাবেক ছাত্র নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু (মোটরসাইকেল), জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ মোল্লা (আনারস) এবং জেলা আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ ( ঘোড়া) প্রতিক নিয়ে লড়ছেন। তিন প্রার্থী যেন নড়েচড়ে উঠেছেন স্বস্ব সমর্থক ও নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে। আ’লীগেরই তিন জন প্রভাবশালী হেভিওয়েট প্রার্থী হওয়ায় জনসাধারণ ভোটারের মাঝে দেখা দিয়েছে ত্রিমুখী হাটাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা।

এদিকে পুঠিয়া উপজেলা আ’লীগে দুইটি ভাগে বিভক্ত থাকায় জনসাধারণের ভোটও দুই ভাগে বিভক্ত হবে বলে সবার ধারনা।
তৃণমূল ভোটারদের দাবি, সবসময় আমাদের গরীব দুঃখী মানুষের পাশে যাকে আমরা পায় তাকেই ভোট দেব। আবার জনসাধারণ বলছে যেহেতু এমপির অনুসারী দুইজন প্রার্থী জিএম হিরা বাচ্চু ও আব্দুস সামাদ তাই তাদের ভোটগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হবে। এবং অপর দিকে আহসানুল হক মাসুদ একক প্রার্থী হওয়ায় তিনিই ভোট যুদ্ধে জয়ী হবেন বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন প্রহর গুনছে আগামী ২১ মে ফলাফলের জন্য আপামর জনসাধারণ।

ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে এমন একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে যে হবে এ উপজেলা উন্নয়নের রুপকার। সততার সাথে নিজেকে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে নিবেদিত করবেন ও যার মাঝে কোন অহংকার নেয় এমন সৎ মেধাবী একজন যোগ্য ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করবে।

পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্র থেকে কোন প্রার্থী দেয়নি তাই তারা তাদের মত নির্বাচন করতে পারে। উপজেলা আ’লীগ এখনও কোন সমর্থন দেইনি। মন্ত্রী মহোদয় যেহেতু এলাকার এমপি উনার দিকনির্দেশনা এখনও আমরা পাইনি। ওনার দিকনির্দেশনা পেলে আমরা সরাসরি সমর্থন দেবো।

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। আপনারা দেখেছেন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সদ্য শেষ হওয়া পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যেমন হয়েছে। এই নির্বাচনও তেমনই সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

উল্লেখ্য, পুঠিয়া উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮২ হাজার একজন, নারী ভোটার রয়েছেন ৯০ হাজার ১৩৬ জন, পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৮৬২ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তিনজন এবং ৭৮টি ভোট কেন্দ্রে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ