প্রগতিশীল ইসলামী জোট তৃণমূল বিএনপি থেকে নির্বাচন করবে

আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ৯:২৪ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


আওয়ামী লীগ ঘরানার ১৫টি রাজনৈতিক দলের মোর্চা ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট’। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে এই মোর্চা আত্মপ্রকাশ করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোর্চাটি। তৃণমূল বিএনপির ‘সোনালি আঁশ’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবে প্রগতিশীল ইসলামী জোট।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সালাম মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রগতিশীল ইসলামী জোট আমাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছি। এটা নির্বাচনি সমঝোতা।’

শনিবার (১৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছে তৃণমূল বিএনপি। দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, প্রগতিশীল ইসলামী জোটের প্রার্থীরা তৃণমূল বিএনপির প্রতীক ‘সোনাশি আঁশ’ ব্যবহার করবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ইসিকে অনুরোধ জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানায় তৃণমূল বিএনপি। সেদিন দলটির চেয়ারপারসন শমসের মোবিন চৌধুরী জানান, তৃণমূল বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। শনিবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে।

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া ১৪ দলীয় জোটে শরীক হয় তরিকত ফেডারেশন। সেই দলের মহাসচিব ছিলেন এম এ আউয়াল। তরিকত ফেডারেশন থেকে আলাদা হয়ে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। তার নেতৃত্বে গঠিত হয় প্রগতিশীল ইসলামী জোট। এই জোটের ১৫টি দল হলো– ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, ইসলামী লিবারেল পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম।

এই ১৫ দলের কোনোটিরই রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নেই। এ কারণে নির্বাচন করতে হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া কিংবা নিবন্ধিত দলের অধীনে মনোনয়ন নেওয়াই তাদের ভরসা।

তৃণমূল বিএনপি সঙ্গে নির্বাচন প্রসঙ্গে এম এ আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে শরিক হচ্ছি। তাদের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবো। আসন বিন্যাস নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরও আলোচনা হবে।’

তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন