বদলগাছীতে কয়েকশো বছরের পুরান তেতুল গাছ

আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ণ


বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি :


নওগাঁর বদলগাছী বটবৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে কয়েকশো বছরের পুরানো তেঁতুল গাছটি দেশের মধ্যে এক বিরাট মহীরূহ দাঁড়িয়ে আছে।
বালুভরা ইউনিয়নের বারাতৈল গ্রামে বিশাল আকৃতির তেঁতুল গাছটি পথচারিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

বারাতৈল গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়ে বারাতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সামনেই পাকা রাস্তা। রাস্তার পাশেই বটবৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতির তেঁতুল গাছটি। প্রাচীনতম এই তেঁতুল গাছটি এখনো চির সবুজ-সতেজ। গাছের ডালপালা বটগাছ বা ছাতার মত বৃহৎ এরিয়া নিয়ে ছড়িয়ে আছে।

সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরো সুসজ্জিত করেছে তেঁতুল গাছটি। গাছের ছায়া আর শীতল হাওয়ায় মানুষের মন ও শরীর প্রশান্তিতে জুড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, সরকারি সম্পত্তির উপর এই গাছটি। এটি গ্রামের কবরস্থান। গাছের বয়স জানতে চাইলে বারাতৈল গ্রামের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, লিটন, নুর ইসলাম, সুরুজ বলেন তাঁদের দাদার দাদারাও বলতে পারেনি এ গাছের বয়স কত।

তবে এলাকায় জনশ্রতি আছে গাছটির বয়স এক হাজর বছরের কাছাকাছি। গাছটির প্রতিটি ডাল যেন এক একটি বড় গাছের চেয়ে লম্বা এবং মোটা। এখনো প্রচুর তেঁতুল ধরে। আকারে ছোট হয়। গাছটির কাণ্ড থেকে মাথা পর্যন্ত সবুজ পাতায় ভরে আছে।

এবারে ঝড়ে বড় একটি ডাল ভেঙ্গে পড়ায় গাছটি অনেকটা সৌন্দর্য হারিয়েছে। তবুও গাছটি এখনো বটবৃক্ষের মত দাঁড়িয়ে আছে। প্রকৃতি প্রেমিরা সামনে পড়লে গাছটি ঘুরে ঘুরে দ্যাখে।

গাছটি অধিক উঁচু হওয়ায় শত শত বাদুরসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখি এই গাছে বসবাস করে। স্থানীয় লোকজন আরো বলেন এতো বড়, মোটা ও এতো উচু তেঁতুল গাছ কোন এলাকায় চোখে পড়ে না। সেক্ষেত্রে এই গাছটি দেশের মধ্যে প্রচীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীত হয়ে আছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version