বদলগাছী কোলাহাটে অতিরিক্ত টোল নিতে বাঁধা দেয়ায় জনতাকে হুমকি দিলেন এসি-ল্যান্ড

আপডেট: মে ১০, ২০২৪, ৭:৫৮ অপরাহ্ণ

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি:


নওগাঁর বদলগাছীর কোলাহাটে অতিরিক্ত টোল নিতে বাঁধা দেয়ায় স্থানীয় জনতাকে হুমকি দিলেন এসি-ল্যান্ড। স্থানীয়দের বাঁধার মুখে শুক্রবার (১০ মে) কোলারহাটে কৃষকের কাছ থেকে টোল নিতে পারেনি হাট ইজারাদার। শুক্রবার সকাল থেকে কোলারহাটে বেচা কেনা শুরু হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে আলু, বেগুন, পটলসহ নানা প্রকার কৃষিপণ্য বিক্রি করা হয়। জনগণের বাঁধার মুখে কৃষকের কাছ থেকে টোল নিতে পারেনি ইজারাদার।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান উপজেলার হাট বাজার গুলিতে কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোলৈ আদায় ও কৃষক হয়রানি বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে নওগাঁ জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহাগ অতিরিক্ত টোল বন্ধ ও দুই পক্ষের কাছ থেকে যেন টোল না নেয়া হয় এই নির্দেশনা নিয়ে প্রতিটি হাট ইজারাদারদের গত ৯ এপ্রিল চিঠি দেন।

গত পহেলা বৈশাখ থেকে চিঠির আদেশ কার্যকর করার কথা ছিল। ইউএনওর এই আদেশ কোনো হাটেই মানা হয়নি। ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারো নির্বাচিত হন সামছুল আলম খান। এলাকাবাসী জানায়, সামছুল আলম খান বৃহস্পতিবার বিকালে কোলা বাজারে অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে কৃষক বাঁচাও, হাট বাচাও নাম দিয়ে একটি আহবায়ক কমিটি করা হয়। এই আহবায়ক কমিটির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এলাকার কৃষক।

শুক্রবার (১০ মে) সকালে হাটে কৃষকরা টোল দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায় আধাঘণ্টা পটল, বেগুন, আলু কেনা বেচা বন্ধ ছিল। তাঁর পর কৃষকদের কাছ থেকে টোল না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কেনা বেচা শুরু হয়। পটলচাষী ফারুক, মেহেদী হাসানসহ অর্ধশতাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, আজ টোল নেয়া হয়নি। তবে ৪২ কেজিতে মণ নেয়া হচ্ছে তারও প্রতিকার হওয়া উচিৎ। পটল ব্যবসায়ী আনিছুর ও বাবু জানায়, কৃষকের কাছ থেকে আজ টোল নেয়া হচ্ছে না।

কৃষক বাঁচাও হাট বাঁচাও কমিটির আহবায়ক কে এম সামিম জানায়, আমরা আহবায়ক কমিটির সকল সদস্য কাঁচা বাজারে লক্ষ্য রেখেছি কৃষকের কাছ থেকে টোল নেয়া হয়নি। ইজারাদারের কাছে দাবী রেখেছি সরকারি নীতিমালা অনুসারে টোল করা হোক। সামিম আরো জানায়, বেলা ১১টার দিকে এসি-ল্যান্ড হাটে এসে আমাদের হুমকি দিয়েছে আপনারা হাটে টোল তুলতে বাঁধা দেয়ার কে? এরপর হাটের ভিতর ঢুকবেন না। কোন সমস্যা হলে প্রশাসনকে জানাবেন। হাট ইজারাদার ফেরদৌস জানান, শুধু কোলার হাটে বন্ধ করলে হবে।

অন্যান্য হাটও বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি টোল তুলতে যারা বাঁধা দিয়েছে তাঁরা তো নিজেই জানেন না হাটের মালিক কে। তার পর আবার টোল আদায় নিয়ে হাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। আমি ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে গিয়েছিলাম প্রথম দিন তাই সতর্ক করেছি। কোনো সমস্যা হলে প্রশাসনকে জানাবে। প্রশাসন দেখবে বিষয়টি।

ইউএনও চিঠি দিয়েছেন গত পহেলা বৈশাখ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায বন্ধ করে নীতিমালা অনুসারে টোল নিতে নির্দেশ দিয়েছেন কিন্তু কোন হাট ইজারাদার ইউএনও’র চিঠি মানেনি। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে এসিল্যান্ড জানান আগামী সোমবারে ইউএনও স্যার সবাইকে ডাকবেন সেখানে বিষয়টি আলোচনা করবেন।