বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়নে ৩০১ সুপারিশ জাতিসংঘের

আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার পর্যালোচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে ১১০টি দেশ তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ তুলে ধরেছে। জেনেভায় ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) সভায় ৩০১টি সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করা হয়।

এই পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেনেভায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। তিনি সুপারিশ প্রদানকারী দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে তার সিদ্ধান্ত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় মানবাধিকার পরিষদের ৫৫ তম অধিবেশনের আগেই জানায় দেবেন।

ইউ.পি.আর সভায় আলোচিত সুপারিশের মধ্য আছে, গুম-বিষয়ক সনদ ও নির্যাতন-বিরোধী সনদের অতিরিক্ত চুক্তি অনুমোদন, গুমের ঘটনা-গুলোর স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্ত, দোষীদের বিচার ও সাজার ব্যবস্থা করা এবং আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা-গুলোর সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগের স্বাধীন তদন্ত ইত্যাদি।

অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, অবাধ, সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংশোধন, মানবাধিকাররক্ষী, সভা ও সংগঠনের অধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, নাগরিক সমাজ বা এনজিও সদস্যদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করা, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ, নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধে আইন সংশোধন।

আরও আছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়ন, ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ঘোষণা, শ্রমিকদের আইএলও স্বীকৃত সব অধিকার নিশ্চিত করা।

এক সুপারিশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বিলোপ করে সব ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে কারাদণ্ড দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর আগের ১৭৬টি সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। এরপর জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১১০টি দেশ তাদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ তুলে ধরে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ