বাগাতিপাড়ায় অবরোধে দেখা মিলেনি বিএনপি-জামায়াতের

আপডেট: নভেম্বর ২, ২০২৩, ৮:৫৫ অপরাহ্ণ

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামসহ সমমনা দলগুলো সারাদেশে তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এই অবরোধ নাটোরের বাগাতিপাড়ার বিএনপির দুই অংশের কোন নেতায় মানেননি।। এমনকি মাঠে ছিল না জামায়াতের কোনো নেতা।
এর আগে হরতালের দিন উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা বাগাতিপাড়া পৌর মেয়র শরিফুল ইসলাম লেলিনের ব্যবহৃত গাড়ি রাস্তায় চলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশের পর প্রেসক্লাবের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে নেতাদের মাঠে না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছে কর্মীরা।

উপজেলার পাঁকা গ্রামের বিএনপি সমর্থক আবুল কালাম বলেন, সারাদেশে হরতাল-অবরোধ সবাই মানলেও বাগাতিপাড়ার কোনো নেতাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। কর্মী-সমর্থকদের এক হয়ে ওইসব নেতাদের মাঠে নামার দাবিতে মানববন্ধন করার কথাও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ও পৌর মেয়র শরিফুল ইসলাম লেলিনসহ বেশ কয়েকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা নয়ন দাবি করেন, এদের মতো অথর্ব নেতাদের কারণে দল আজ দেউলিয়া হতে চলেছে। দলকে বাঁচাতে হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের বেছে নেয়ার দাবিও করেন তিনি।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী বাগাতিপাড়া শাখার সেক্রেটারি জাকির হোসেন বলেন, আমি এক বছর আগে নতুন দল বিডিপির দায়িত্ব নিয়েছি। জামায়াতের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন জানান, নেতাদের অযোগ্যতার কারণেই কর্মী-সমর্থকদের আগ্রহ থাকা সত্বেও এই উপজেলাতে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির নাটোর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান দফায় দফায় শান্তি সমাবেশ করে নিজ নিজ সমর্থকদের চাঙ্গা রাখছেন। তারা বলছেন, শান্তি সমাবেশের কথা শুনে বিএনপি নেতারা ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কেউ কেউ বের হলেও হরতাল অবরোদের কথা মুখেও আনছে না।

বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আজম খাঁন বলেন, রেলস্টশনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উপজেলার মালঞ্চি, ইয়াসিনপুর ও লোকমানপুর স্টেশনে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি যে কোন নাশকতা ও জনদুর্ভোগ মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনী প্রস্তুতি থেকে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে জনসাধারণে স্বাভাবিক চলাচলে বাধা ও বিঘ্ন সৃষ্টি করলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দাবি করেন তিনি।