বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙনে বিলীন ১৯ জনের বাড়ি

আপডেট: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ণ


আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) :


রাজশাহীর বাঘায় দুই সপ্তাহে অসময়ের ভাঙনে ১৯ জনের বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০:৩০ টায় চকরাজাপুর ইউনিয়নের পূর্বকালিদাসখালী এবং নিচ পলাশি চরে সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।

জানা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মার ভাঙনে নিচ পলাশি চরের ছত্তর ব্যাপারি, বাবু ব্যাপারি, বাদশা ব্যাপারি, হানিফ ব্যাপারি, নুরুজ্জামান শেখ, মুদা ব্যাপারি, উজ্জল শেখ, মিন্না শেখ, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সাহাদুল ইসলাম, জিন্না শেখ, বখতিয়ার শেখ, মুজা ব্যাপারি, গুলবার শেখ, জাহানারা বেগম, আবদুল আওয়াল, সুলতান আলীর বাড়ির ভিটে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এসব পরিবার অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া গত বছরে শত শত পরিবার পরিবার পদ্মার ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে।

প্রসঙ্গত, কয়েক বছরের ব্যবধানে পদ্মার ভাঙনে পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়েছে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর চর, দাদপুর চর, পলাশি ফতেপুর চর, কালিদাসখালী চর, চৌমাদিয়া চর। স্থানান্তর করা হয়েছে চকরাজাপুর হাইস্কুল, চকরাজাপুর বাজার, পূর্বকালিদাসখালী, চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

হুমকির মুখে পড়েছে, চকরাজাপুর হাইস্কুল ও বাজার, চকরাজাপুর, কালিদাশখালি, লক্ষীনগর, আতারপাড়া চর, চৌমাদিয়া চর ৭৫ ভাগ, কালিদাশখাী ৮০ ভাগ, পূর্ব কালিদাশখালী চরের ৭০ ভাগ। চকরাজাপুর হাইস্কুলটি আবারও ঝুঁকিতে রয়েছে।

দাদপুর চরের নান্নু শেখ এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ বিঘা ভূট্টার আবাদ পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান।
চকরাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার দেওয়ান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০টি পরিবারের তালিকা দেয়া হয়েছে। আরও ৫০ পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিদ্যুতের ১৫০টি পোল উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মাহাবুব রাসেল বলেন, নদীর মাঝখানে চর পড়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় অসময়ে পদ্মার ভাঙন থামছে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ৪৮ পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। বাঁকিদের সরকারি অনুদান দেয়ার চেষ্টা চলছে।