বাঘায় খাবার পানি বিতরণ

আপডেট: মে ৫, ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ণ


বাঘা প্রতিনিধি:


রাজশাহীর বাঘায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার অধিকাংশ মানুষ সুপেয় পানির অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। লেয়ার নিচে নেমে যাওয়া টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা। এমন দূর্দশার দেখে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিজস্ব লোক দিয়ে ১০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ৭টি টাঙ্কিতে পানি ধারণ করে সংকটময় এলাকায় প্রতিদিন সকল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করছেন।

এ বিষয়ে আড়ানী সরকারি মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান জুয়েল বলেন, বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত রোগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এতে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। দিন দিন পানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। নলকূপে পানি না ওঠায় পান করাসহ গৃহস্থালি কাজে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে, তেমনি ব্যাহত হচ্ছে সেচনির্ভর কৃষি আবাদ। বেশির ভাগ টিউবওয়েল অকেজো হয়ে গেছে। অধিকাংশ নদী, খালবিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে।

আড়ানী গোচর গ্রামে সাইদুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে কোনো টিউবওয়েলে পানি নেই। সুপেয় পানি বর্তমানে সোনার হরিণের মতো। একটু নিরাপদ পানি সংগ্রহ করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামন আসাদ বলেন, এ সময় পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এতে সুপেয় পানির অভাব দেখা দেয়। এ সময় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ বেশি হয়। এ ধরনের রোগী ভর্তি হচ্ছে। মানুষের শরীরের জন্য পানির বিকল্প কিছুই নেই। দূর থেকে হলেও সুপেয় পানি সংগ্রহ করে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ‘পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জন্য ভূগর্ভস্থ পানি দিয়ে বোরো চাষ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মিঠন কুমার রবি দাস বলেন, বসানো সাব-মারসেবলের কোন সমস্য নেই। তবে দুই হাজার ৯৫১টি বসানো হ্যান্ড টিউবয়েলের মধ্যে অধিকাংশটিতে পানি উঠছেনা। এরমধ্যে ৫২৭টি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। পানির স্তর নিচে যাওয়ার কারণে টিউবওয়েলে পানি আসছে না। তবে বৃষ্টি হলে সমস্যা কেটে যাবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম শুক্রবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, দেশের আবহাওয়া এখন যেমন হয়েছে তা বিগত বছরগুলোতে দেখা যায় নি। তীব্র গরমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ সময় যে যেভাবে হোক সাধারণ মানুষের কাজে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটার পানি সংকটময় এলাকায় সরবরাহ করছি। এই কাজিট চলমান থাকবে বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, পানি সংকট দূর করনে সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নিজস্ব অর্থায়নে গ্রামে গ্রামে পানি সবরাহর করছেন। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ