বাজারে দেশি লিচু, দাম চড়া

আপডেট: মে ৭, ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীর বাজারে উঠেছে দেশি জাতের– লিচু। তবে মৌসুমের নতুন ফল হিসেবে দাম বাড়তি। প্রতি ১০০ পিস লিচু ব্যবসায়ীরা সাড়ে ৩০০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে এই লিচু বিক্রি করতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখন দেশি ছাড়া অন্য জাতের লিচু বাজারে আসেনি। বোম্বাইসহ অন্য জাতের লিচুগুলো আর কয়েকদিন পর বাজারে আসবে। এবার লিচুর উৎপাদন কম। তাই মৌসুমজুড়েই লিচুর দাম বেশি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সাহেববাজারে ডালিতে লিচু সাজিয়ে রেখেছিলেন ব্যবসায়ী মনির হোসেন। তিনি জানান, নামের এক ব্যবসায়ী লিচু এনে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এখন প্রতি ১০০ পিস লিচুর দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাড়ে ৩০০র কম দামে কেউ লিচু বিক্রি করছেনা।

সাহেববাজারে লিচু কিনতে গিয়ে আনোয়ারা খাতুন নামে এক গৃহিনী বলেন, মৌসুমি ফলর তাই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বেশি চাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাচ্চারা লিচু খুব পছন্দ করে। বাজারে প্রথম এসেছে দেখে কিনছি।

লিচু বিক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, মাসখানেক আগেই তিনি বাগান কিনেছেন। লিচু কম থাকলেও চড়া দামে বাগান নিতে হয়েছে। লাভ করতে হলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। তা না হলে তিনি ক্ষতির মুখে পড়বেন।

জেলা কৃষি- সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এ বছর ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচু গাছ আছে। প্রতি হেক্টরে সাত মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু সেটি এবার পূরণ নাও হতে পারে। বৃষ্টি না হওয়ায় অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ঝরে পড়েছে লিচুর গুটি।

অন্যদিকে লিচুর ফুল থেকে গুটি আসা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে মোট ১২০ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। এবার সেই সময় পাওয়া যায়নি। হঠাৎ করেই গরম পড়ে গেছে। ফলে ঠিকমত লিচুর গুটি ধরেনি। বৈরি আবহাওয়ায় এবার লিচুর উৎপাদন কম হবে।

রাজশাহীতে মূলত উন্নতমানের জাত হিসেবে বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাদমি, মোজাফফরপুরী, বেদানা, কালীবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, চায়না-৩, বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩ জাতের লিচু উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে বোম্বাই লিচুর চাহিদা বেশি। বৈরী আবহাওয়ায় এই জাতের লিচুরই বেশি ক্ষতি হয়েছে। খরায় লিচুর মানও খারাপ হয়ে গেছে। ক’দিন পর উন্নতজাতের লিচুগুলো বাজারে উঠবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ