বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনফ সদস্য নিহত : আইএসপিআর

আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ২:১৬ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বলেন, ‘রুমা উপজেলার দুর্গম ব্কলাইপাড়া এলাকায় রোববার সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির দু’জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।’
এ ছাড়া ৩টি অস্ত্র, বিপুল গোলাবারুদ, ওয়াকিটকিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এর আগে রুমার রেমাক্রিপ্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাকলাইপাড়া এলাকার থানচি-লিক্রি সড়কের পাশের জঙ্গলে গুলিবিদ্ধ দুই মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছিল ।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ওই এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। পরে রোববার সকালে গুলিবিদ্ধ দুটি মৃতদেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
পরে থানচি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ঘটনাস্থলটি রুমা থানা এলাকার হলেও থানচি থানার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা ও নিকটবর্তী হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

ঘটনার বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
চলতি মাসের ২ তারিখে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের দশটি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। তবে দু’দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার পরদিনই থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী।
যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ