বাবুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি  শাহরিয়ারের কুশপুত্তলিকা দাহ, অবাঞ্চিত ঘোষণা

আপডেট: জুন ২৮, ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মরহুম আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার বিচারের দাবিতে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এর বিরুদ্ধে অপ-প্রচার ও ষড়যন্ত্রকারী শাহরিয়ার আলম এমপি’র দৃষ্টান্ত-মূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকাল ৫টার সময কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এমপি শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহীতে জেলা ও মহানগরীতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শাহরিয়ার আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন মনির। সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার আলী, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান ফয়সল সজল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াসির আরাফাত সৈকত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা,

মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান বিপ্লব, সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ শুভ কুমার মন্ডল। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ।
সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। আমরা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

বক্তারা আরো বলেন, বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলে আসছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনের কোন উদ্যোগ নেননি শাহরিয়ার আলম। এই দ্বন্দ্বের কারণে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু হয়। বাবুল এর মৃত্যুর মূল হোতা এই শাহরিয়ার আলম। তাকে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো।

বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর রক্তবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এর সুযোগ্যপুত্র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তিনবারের নির্বাচিত মেয়র। জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, আসাদুজ্জামান আসাদ এমপি ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাবলু’র বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছে শাহরিয়ার আলম। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের লাশ নিয়ে রাজনীতি করছে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারী শাহরিয়ার আলম গং। আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শাহরিয়ার আলম গংকে হুশিয়ারি দিয়ে আমরা বলতে চাই, ভবিষ্যতে এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আপনাদের রাজপথেই মোকাবেলা করা হবে।