বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেরা পাঠকের পুরস্কার পেলো নওহাটা বালিকা বিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থী

আপডেট: মে ১০, ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


বইপড়ার জন্য রাজশাহীতে ২ হাজার ২১২ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোন দিয়েছে এই বই পুরস্কার। বই পড়ায় এগিয়ে আছে নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। শতাধিক পাঠকের পুরস্কারসহ সেরা পাঠকের তিনটি পুরস্কার পেয়েছে এই বিদ্যালয়ের মেয়েরা।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী মহানগরের ৫১টি স্কুলের প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণ উৎসবে প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া, বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক, ও অনুবাদক খায়রুল আলম সবুজ, গ্রামীণফোনের সার্কেল মার্কেটিং হেড মোঃ শাহিনুর রহমান এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন।

এছাড়া বিভিন্ন পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নাটোর শাখার সংগঠক-অধ্যাপক অলোক মৈত্র, কথাসাহিত্যিক-অধ্যাপক জুলফিকার মতিন, লেখক, উপন্যাসিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা-বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল, বিশ্ব-পরিব্রাজক ও লেখক তারেক অণু, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের-অধ্যক্ষ ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সুজন এর সভাপতি ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র রাজশাহী শাখার সাবেক-সংগঠক আহমেদ শফিউদ্দিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। এই অনুষ্ঠানে নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১৫০ জন ছাত্রী বই পড়ায় অংশ নেন। এরমধ্যে ১০৩ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পায়। এছাড়াও সেরা পাঠকের পুরস্কারও জিতেন এই বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থী। এরা হলেন, জুমাইয়া ইয়াসমিন ইলা, সাদিয়া সুলতানা ও সুমাইয়া তাসনীম।

নওহাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবারে উপজেলা পর্যায়ের পবার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক সামসুদ্দীন প্রামানিক বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের মেয়েদের সবসময় বই পড়ার জন্য উৎসাহিত করি থাকি। তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, জীবনে শিখতে হলে, ওপরে উঠতে হলে, উন্নত জাতি গড়তে হলে বই পড়তে হবে। বই পড়াও একটি ইবাদত। যারা যত বেশী বেশী বই পড়বে-তারা জীবনে নৈতিকতা, নিয়মানুবর্তিতা ও ন্যায় সম্মত কাজে উদ্বুদ্ধ হবে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বইপড়ার সার্বিক দেখভাল করেন গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক তারিকুল ইসলাম।