মিস্ত্রি সোহেলকে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী ও লালপুর প্রতিনিধি:পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দর মোড়ের ব্যবসায়ী ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মো. সোহেল হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগে এই হত্যাকাণ্ডের ৯দিন পর অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম শফি ও তার স্ত্রী কুলসুম খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২০ মার্চ) রাজশাহী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দু’জন এই হত্যাকাণ্ডের এজাহার ভুক্ত পলাতক আসামী। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের দিন গত ১১ মার্চ থেকে তারা দু’জন পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বুধবার (২০ মার্চ) তাদের রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও বিমানবন্দর মোড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ করে হত্যাকারিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিমানবন্দর মোড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, গত ১১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদীর এয়ারপোর্ট মোড় থেকে ব্যবসায়ী ও ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সোহেল নিখোঁজ হন। পরদিন সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের পাশের একটি ভুট্টাখেত থেকে সোহেলের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সোহেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামী স্বামী শফিকুল ইসলাম শফি ও তার স্ত্রী কুলসুম খাতুনকে গ্রেপ্তার করার পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে পিবিআই নাটোর ইউনিটের-ইন্সপেক্টর এডমিন ফরিদুল ইসলাম বলেন, গত ১২ মার্চ লালপুরের এক ভুট্টার জমি থেকে সোহেল নামে এক টেলিভিশন মেকানিকের মরদেহ পাওয়া যায়। এঘটনায় সোহেলের স্ত্রী নাছিমা বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে গত রাতে অভিযান চালিয়ে এমামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৩ মার্চ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও গ্রেপ্তারকৃত শফি ও তার স্ত্রী কুলসুমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়কে লাশ রেখে লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। পরে একই দাবিতে ১৫ মার্চ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।