মুখোশধারী হেলমেট বাহিনী আতঙ্কে নওগাঁবাসী ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ কোম্পানির বিক্রয়কর্মী নিহত

আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২৩, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ


আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:


নওগাঁয় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মামুনুর রশিদ মামুন (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মামুনুর রশীদ মামুন সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

এই ঘটনার একদিন আগে রাতের বেলায় শহরের অদূরে বিএনপি নেতা কামাল হোসেনেকে প্রকাশ্যে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এমন ঘটনা স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে নওগাঁয় দুর্বৃত্তদের এমন দৌরাত্মের কারণে আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলে মনে করছেন সুধিমহল। এমন অবস্থায় কেউই নিরাপদ নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন নওগাঁবাসী।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ নভেম্বর) বিভিন্ন দোকানে পণ্য ডেলিভারি দিতে বের হয়ে যান ব্যাটারিচালিত অটো চার্জার নিয়ে। পণ্য ডেলিভারি শেষে বিকেলে নওগাঁ শহরের ফিরছিলেন। এমন সময় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চাকলা-বক্তারপুর রাস্তায় পৌঁছালে দুটি মটরসাইকেলে ৫ জন পথরোধ করে মামুনকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে শরীরর বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এসময় মামুনের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭:১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

নিহত মামুনের বাবা আবুল কালাম বলেন, প্রতিদিন সকালে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গার দোকানে পন্যগুলো পৌঁছে দিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে। কিন্তু আজ আমার ছেলেটা লাশ হয়ে পড়ে আছে। তার কাছে ২০-৩০ হাজারের মত টাকা ছিল। টাকা না দেয়ায় হয়তো তাকে মেরে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। সামান্য কিছু টাকার জন্য কেউ এমনটা কিভাবে করতে পারে। তাদের কি একটু মায়া হলো না। যারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাকিব হোসেন বলেন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুনুর রশীদ মামুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা তার চিকিৎসা শুরু করা হয় কিন্তু তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মোট ৬টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

বুকের আঘাত বেশি গুরুত্বর হওয়ায় এবং ফুসফুসে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭:১০ মিনিটে তিনি মারা যায়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত সে বিষয়ে সার্বিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ