মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আ’লীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত II বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি, আপোস করেননি : লিটন

আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল বাংলার মাটিতেই স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় চার নেতা সেদিন জীবন-মৃত্যুর ভয় করেননি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় চার নেতা শপথ গ্রহণ করেন। তাঁরা নেতার আদর্শে অবিচল ছিলেন। নেতার নির্দেশমতো তাঁরা সব কাজ করেছেন। কোন প্রলোভন তাদেরকে টলাতে পারেনি। তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও কখনো খুনী খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান গংদের সঙ্গে আপোস করেননি।

১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শপথ গ্রহণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে নগরীর জয় বাংলা চত্বরে (গণকপাড়া মোড়) আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও বিএনপি-জামায়াত এবং যারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি, তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি, যে পরাশক্তি এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা বিভিন্ন অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন। নেত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তায় সকল ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়েছে, তারা লেজ গুটিয়ে নিয়েছে। এখন তারা বলছে, শেখ হাসিনা সরকার ভালো কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সকলকে সাথে নিয়ে রাজশাহীকে আরো সুন্দর ও উন্নত করা হবে। নগরীর আয়তন কয়েকগুন বাড়াতে চাই।

মেয়র লিটন বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে দলের পক্ষ হতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ-সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে বলে দিয়েছেন, “নির্বাচিত হয়ে কেউ (এমপি) যেন মনে না করে যে এটা আমার প্রার্থী। আমার প্রার্থী মানেই দলের প্রার্থী। অতএব, তাকেই ভোট দাও।” এই কথাটি আপনারা (নেতাকর্মীরা) মানবেন না, বিশ^াস করবেন না। কারণ, বলা হয়েছে- যে গ্রহণযোগ্য, জনগণের কাছে জনপ্রিয়, মানুষের জন্য কাজ করেন, তার অধিকার আছে নির্বাচনে দাঁড়াবার। তাঁকে যদি লোকাল এমপি সমর্থন দেন, ভাল। না দিলে জনগণ যেটি সমর্থন দেয়, সেটিই আমরা গ্রহণ করতে চাই। আসুন, ভাল ব্যক্তিত্ব নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসুন। কারও চামচা হয়ে নয়, কারও অপকর্মের সঙ্গী হওয়ার জন্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ভাল মানুষ চাই, যে ভাল মানুষগুলো আগামী দিনে ৩০ বছর, ৪০ বছর নেতৃত্ব দেবেন।উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন, আগামীতে কোন এক সময় এমপি হবেন, মন্ত্রী হবেন। তাদের পথটা সুগম করে দিতে চাই। দলের মধ্যে নির্বাচনের যে লড়াই, সে লড়াইটি গণতান্ত্রিক লড়াই। এই লড়াই আওয়ামী লীগ সমর্থন করেছে। দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক যেটি বলেছেন সেটিই আওয়ামী লীগের বক্তব্য। স্থানীয় কারও বক্তব্য আমরা শুনত চাই না।’

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বিশাল জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী-২(সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মুহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। জনসভা সঞ্চালনায় ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক মোস্তাক হোসেন এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক এড. লায়েব উদ্দিন লাভলু।

জনসভায় অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য রায়হানুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ-সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী, বোয়ালিয়া থানা(পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, পুঠিয়া উপজেলার নেতা ওবাইদুর রহমান, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা। জনসভায় মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ জেলার নয়টি উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি ও সদস্য এড. মোজাফফর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বদরুজ্জামান রবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাম হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল,

স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ.ম.আ জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য মোশফিকুর রহমান হাসনাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, এড. শামসুন্নাহার মুক্তি, নজরুল ইসলাম তোতা, হাবিবুর রহমান বাবু, শাহাব উদ্দিন, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, এড. রাশেদ উন নবী-আহসান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক হোসেন ডাবলু, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইয়াসিন আলী, প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মিঠু, মহানগরের অন্তর্গত থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্ মখদুম থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার, নগর কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি শাখা ছাত্রলীগ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান-বাবু, সাধারণ-সম্পাদক মোকসেদ উল আলম-সুমন প্রমুখ।