রাজশাহীতে আঞ্চলিক কৃষি বিপণন কর্মশালায় ‘কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের সাথে বাজার সংযোগ স্থাপনের আহ্বান’

আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে উত্তম কৃষি চর্চা অবলম্বন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি পণ্যের রপ্তানিমুখী বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে আঞ্চলিক বিপণন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিনব্যাপী নগরীর ভিক্টোরিয়া কনভেনশন হলরুমে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পার্টনার প্রকল্প ‘ডিএএম অংগ’ এর আয়োজনে কৃষির সাথে জড়িত বিভাগের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষকদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মাহমুদুল ফারুক ও পার্টনার প্রকল্প ডিএএম অংগ’র এজেন্সি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল ফারুক এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক শাহানা আখতার জাহান।

এসময় পার্টনার প্রকল্প ডিএএম অংগ’র সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মো. বায়েজীদ বোস্তামীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আফরিন হোসেন।

মূল্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পার্টনার প্রকল্প ডিএএম অংগ’র ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাসুদ রানা এবং পার্টনার ডিএএম প্রকল্প অংগ’র সিনিয়র মনিটরিং অফিসার মো. রশিদুল ইসলাম।
‘কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা আহ্বান’ জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, ‘কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সরাসরি বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক কৃষক সংগঠন তৈরি করে গ্রুপ মার্কেটিং এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কৃষি পণ্য বিপণনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সহায়তা করে থাকে। তাই কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোক্তা আর কৃষকদের মাঝে বাজার সংযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন।’

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, উদ্যোক্তারা নিজেদের প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেই লক্ষ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন ২০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যারা আম, কাঠাল, আলু, টমেটো ও সুগন্ধি চালসহ নিরাপদ ও রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে সরাসরি কাজ করবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে তরুণ উদ্যোক্তাদের থাইল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।