রাসেলস ভাইপার সাপ ভীতি: পদ্মাপাড়ের বিনোদনে ভাটা

আপডেট: জুন ২৯, ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


নগরীর বিস্তৃর্ণ পদ্মাপাড় জুড়েই বিনোদন পিপাসুদের আড্ডা থাকে সরগরম। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেশকিছু স্পটে পা ফেলার জায়গা থাকে না। কিন্তু হঠাৎই সে চিরচেনা বিনোদনে ভাটা পড়েছে। অন্যতম বিনোদন স্পট বড়কুটি পদ্মাগার্ডেন, পঞ্চবটি, টি-বাঁধ, আই-বাঁধ এলাকায় কমেছে বিনোদন পিপাসুদের ভিড়। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা তুলে ধরছেন, রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্ক।

শুক্রবার (২৮ জুন) আই-বাঁধ হয়ে পঞ্চবটি পর্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মানুষের আনাগোনা কম। যা দর্শনার্থী আছেন তাও আবার রাস্তার ধারেই। কেউ ভয়ে নিচে নামছে না। অথচ অন্যান্য সময় পদ্মায় জেগে ওঠা চরে না নামলে মানুষের ভ্রমণ তৃপ্তিই আসতো না।

দোকানিরা বলছেন, অন্য সময়ের চেয়ে এখন কিছুটা কমই মানুষ আসছে। আর যারা আসছেন, তাদের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতেও থাকছে রাসেলস ভাইপার সাপ। আর মানুষ কম আসায় বেচাকেনাও কিছুটা কমে গেছে বলে জানাচ্ছেন তারা।

পদ্মায় জেগে ওঠা চরে হেঁটে হেঁটে বাদাম বিক্রি করেন সাইমুল হাসান। তিনি বলেন, আগে পদ্মার জেগে ওঠা চরে অনেক কাপল দেখা যেতো। যারা বালুর মধ্যে এসে বসে থাকতো। বিকেল ৩ টা ৪ টার দিকে এসে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত আড্ডা দিতো। কিন্তু হঠাৎ করেই সে আড্ডা কমে গেছে। সবাই মুক্তমঞ্চে বা কনক্রিটে বসে আড্ডা দিচ্ছে। কেউ চরে নামছে না।

বন্ধুদের নিয়ে মুক্তমঞ্চ এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন মুহীন হাসান। তিনি বলেন, এখন সবখানেই রাসেলস ভাইপার নিয়ে আলোচনা হচেছ। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলেই রাসেল ভাইপার ইস্যু। একারণে কিছুটা ভীতি আছে। অন্যান্য দিন নিচে গিয়ে একটু আড্ডা দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আজ নামতে ইচ্ছে করছে না।
‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে খ্যাত পদ্মাপাড়ে সমুদ্র পাড়ের আদলে সী-বিচ চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। দর্শনার্থী না আসায় সে চেয়ারও ফাঁকা পড়ে থাকছে।

চেয়ারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রুবেল হাসান বলেন, এখন ব্যবসা তেমন নাই। মানুষজন ভয়ে নিচে নামছে না। একারণে সারাদিনই চেয়ার ফাঁকা থাকছে। আগে সন্ধ্যার পরেও টি-বাঁধের চেয়ারে মানুষজন বসতো। কিন্তু এখন সেটাও ফাঁকা থাকছে।

রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, সাপ নিয়ে এখন একটা আতঙ্ক আছে। আর নদী পাড়ে রাসেলস ভাইপার থাকতে পারে এ ধারণা থেকেই হয়তো অনেকে সর্তক হচ্ছেন। তবে আমরা আতঙ্কিত না হয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।