সংবাদ সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগ শাহরিয়ার এমপি আ’লীগের নীতি-আদর্শ পরিপন্থি এবং দলের শৃংঙ্খলা বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ

আপডেট: জুলাই ১, ২০২৪, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ

সংবাদ সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগ শাহরিয়ার এমপি আ’লীগের নীতি-আদর্শ পরিপন্থি এবং দলের শৃংঙ্খলা বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:


মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় নেতা শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এর সন্তান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এর বিরুদ্ধে বাবুল হত্যা মামলার আসামী করার হুমকি দিয়েছেন শাহরিয়ার আলম এমপি। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সংবাদ সম্মেলন সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশের জনসাধারণের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর এর সকল নেতা-কর্মী গৌরবান্বিত।

ইতিহাসের এই মহেন্দ্রক্ষণে আমরা গভীর উদ্বেগ এর সাথে লক্ষ্য করছি যে, রাজশাহী অঞ্চলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি ধ্বংস করার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও বাংলাদেশের জনকল্যাণে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান এঁর অবদান কে খাটো করতে এবং আধুনিক রাজশাহীর রূপকার, বাংলাদেশের জনগণের কাছে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আস্থাভাজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর অন্যতম সদস্য জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে কতিপয় গণধিকৃত, জনবিচ্ছিন্ন, সুযোগ সন্ধানী হিসেবে আখ্যায়িত ব্যক্তিবর্গ চক্রান্তে-ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এরা সব সময় খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে কুৎসা রটনায় লিপ্ত আছে। তাদের অপকর্মের দ্বারা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। কেননা জনদরদী, কর্মীবান্ধব, মানবিক জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের অবস্থান দল এবং জনগণের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

ষড়যন্ত্রকারীদের সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে ষড়যন্ত্রকারীদের একজন বাঘা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম আ’ লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জানাযায় প্রকাশ্যে মাইকে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন কে হত্যা মামলায় আসামী করার ঘোষণা দেন। শাহরিয়ার আলম ঘোষণা করেন,“আমরা জবাব চাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন এর কাছে তিনি আজকের জানাযায় উপস্থিত নেই কেন? তার সৎ সাহস নেই কেন? খুনের মামলায় দুইজন স্বশরিরে উপস্থিত ছিলো।

পিছন থেকে মদদদাতা আসাদুজ্জামান আসাদ, এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন, লায়েব উদ্দিন লাভলুর বিরুদ্ধে আমরা মামলা করবো”। “দ্রুত বিচারে আইনে মামলা হয়েছে। এখন হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। এবং যারা মদদদাতা তাদের প্রতিটি নাম সেখানে লিপিবদ্ধ থাকবে”। তার এই ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ফলে সর্বস্তরে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক সোস্যাল মিডিয়ায় সরব হন। রাজপথে নেমে আসে এবং মিছিল-মিটিং সভাবেশের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে যা এখনো অব্যাহত আছে। শাহরিয়ার আলমের এমন দম্ভোক্তির প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, আইনজীবীগণ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন তার বিচারের দাবীতে সোচ্চার হন। মানুষের এই স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদকে আমরা অভিবাদন জানাই। শাহরিয়ার আলম এর এই উদ্ধ্যত আচারণ জনসাধারণের সামনে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিক সমাজের ভূমিকাকে আমরা স্বাগত জানাই।

বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত কর্মী বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের কর্মী থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের সঙ্গে খায়রুজ্জামান লিটন এর রাজনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। বাবুল আহত হওয়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাবুলের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেন এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

নিহতের সন্তানদের অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে পাশে দাঁড়ান। বাবুল আহত হওয়ার পর থানায় মামলা করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে ষড়যন্ত্রকারী শাহরিয়ার আলম, এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন-সহ অন্যান্যদের আসামী করে নতুন হত্যা মামলার ঘোষণা দেন। ষড়যন্ত্রকারী শাহরিয়ার আলমের এই ঘোষণায় আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও জনগণের মাঝে চরম অসন্তোস সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের প্রশ্ন তাহলে কি ষড়যন্ত্রকারী শাহরিয়ারদের হাতেই ধ্বংস হবে আওয়ামী লীগ? জনগণের স্বপ্ন? জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উন্নয়ন?

বক্তারা বলেন, উচ্চাভিলাষী শাহরিয়ার আলম, এমপি আওয়ামী লীগের নীতি ও আদের্শের পরিপন্থি, দলের শৃংঙ্খলা বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও জনসাধারণকে শান্ত থাকার জন্য, ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য ও কোনো প্রকার উস্কানি বা প্ররোচনায় কান না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শাহরিয়ার আলমগংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, নাঈমুল হুদা রানা, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, সদস্য শাহাব উদ্দিন, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, মোখলেশুর রহমান কচি, এ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ,

রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্ মখদুম থানার সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী প্রমুখ।

আরও পড়ুন: নগর আওয়ামী লীগ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ