সাঁথিয়ায় অপহরণের দু’দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার, আটক-৩

আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪, ২:৩১ অপরাহ্ণ


সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি :


অপহরণের দু’দিন পর চাচাতো ভাইয়ের ঘরের বাক্সের (টাঙ্ক) ভেতর থেকে সালমান নামের ৪ বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার আলোকচর গ্রামে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সালমান আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের আলোকচর গ্রামের শিক্ষক হাশেম আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের চাচা, চাচি ও চাচাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন-একই গ্রামের নিগত শিশুর চাচা আনোয়ার হোসেন শাহাদত(৪৮), চাচি ফাহিমা খাতুন (৪০) এবং চাচাতো ভাই ফয়সাল হোসেন (২৩)।

নিহত সালমানের পিতা হাশেম আলী জানান, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৮:৩০ টার দিকে সালমান নিখোঁজ হয়। পরিবারের সবাই তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরে জনৈক ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে আমার ভাই সাদ্দামের মোবাইলে টেলিগ্রাম অ্যাপসে ১০ লাখ টাকা নিয়ে পার্শ্ববর্তি গ্রাম আতাইকুলা-সুজানগর সড়কের হিজলতলায় টাকা রেখে সালমানকে আনতে ম্যাসেজ দেয়া হয়। পরে এ বিষয়ে আতাইকুলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে মামলা হয়, যার নং-৪, তারিখ ১৫ জানুয়ারি।

এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পরই শিশুর সন্ধানে কাজ শুরু করে পুলিশ। কললিস্ট ধরে সন্দেহভাজন শিশুর চাচাতো ভাই ফয়সালকে সোমবার (১৫ জানিুয়াুির) দুপুরে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শিশু সালমানকে অপহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে ফয়সাল। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ফয়সালের নিজ ঘরে একটি বাক্সের মধ্য থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেলে এবং আটককৃতদের পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করে ওসি জানান, সালমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরে একটি বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। ফয়সাল অনলাইন জুয়ায় হেরে সালমানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ