৮১টি পশ্চিমী গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করল রাশিয়া

আপডেট: জুন ২৭, ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৫টি দেশের ৮১টি গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। এর অর্থ, রাশিয়ার মানুষ আর সেই গণমাধ্যমগুলি দেখতে পারবেন না। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই গণমাধ্যমগুলি রাশিয়াবিরোধী খবর দেখাচ্ছে। ভুল তথ্য দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তারা অসত্য তথ্য দিচ্ছে।

মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ দিনের সিদ্ধান্তের পেছনে মে মাসের একটি ঘটনা আছে। সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার চারটি গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অভিযোগ ছিল, ক্রেমলিনের হয়ে প্রোপাগান্ডা করছে ওই গণমাধ্যমগুলি। প্রাগের ভয়েস অফ ইউরোপও সেই তালিকায় আছে। যারা সরাসরি পশ্চিমী বিশ্বের বিরোধিতা করে। রাশিয়া ইইউর এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিল। বস্তুত রাশিয়া ইউক্রেনের অভিযানকে যুদ্ধ বলছে না। বিশেষ সেনা অভিযান বলা যচ্ছে। কেউ একে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ গণমাধ্যমেই একে যুদ্ধ বলছে।

যে গণমাধ্যমগুলি বন্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি, জার্মানির স্পিগেল, স্পেনের এল প্যারিস, অস্ট্রিয়া, ইতালি এবং ইতালির জাতীয় সংবাদসংস্থা আছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর ওপরও। ইইউর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে ‘ননসেন্স’ বলে অভিহিত করেছেন। তার বক্তব্য, যে গণমাধ্যমগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, তারা কেউ প্রোপাগান্ডা মেশিন নয়।

মস্কো জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপ ফিরিয়ে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ইইউ যে গণমাধ্যমগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা তুলে নিতে হবে। রাশিয়া বলেছে, ‘আমরা বার বার সতর্ক করেছিলাম। ইইউতে যে সংবাদপ্রতিষ্ঠানগুলি রাশিয়ার পক্ষে কথা বলছে, তাদের সাংবাদিকদের সমস্যায় ফেলা যাবে না। সংবাদমাধ্যমগুলির কাজে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।

কিন্তু ইইউ তখন সে কথা শোনেনি।’ মঙ্গলবারের নিষেধাজ্ঞা জারির এক দিন আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টার ইভান গারশকোভিচের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বস্তুত প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে রাশিয়ার নম্বর ১৬২।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version