সোনার দেশ ডেস্ক:
৭৭ বছর আবারও চালু হবে রাজশাহী ও কলকাতা নতুন ট্রেন সার্ভিস। শনিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ১৩টি ঘোষণা দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু হবে। চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস সেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গেদে-দর্শনা এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে ডালগাঁও পর্যন্ত পণ্য ট্রেন সার্ভিস চালু হবে। অনুদান সহায়তায় সিরাজগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো নির্মাণ করা হবে। ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি শুরু হবে। গঙ্গা পানি চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি গঠিত হবে। বাংলাদেশ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য মেডিকেল ই ভিসা চালু। তিস্তার পানি বণ্টনে টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে শুক্রবার (২১ জুন) দিল্লি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজেপি জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এই বৈঠকে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অবিভক্ত বাংলায় ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ হয়ে রেলপথে কলকাতার সাথে রাজশাহীর যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তান পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পর সেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে চিকিৎসা ও ভ্রমণসহ নানা কারণে রাজশাহী অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারত যাচ্ছে। রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালুর গুরুত্ব অনেক আগে থেকেই ছিল।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জানিয়েছে, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের সিঙ্গাবাদ, মালদহ, ফারাক্কা, কাটোয়া, খাগড়াঘাট হয়ে কলকাতার হাওড়ায় রেলস্টেশনে পৌঁছাবে। এ রুটে কলকাতা যেতে ৪২৫ কিলোমিটার পথ দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। সময় লাগবে প্রায় ১১ ঘণ্টা। গেদে সীমান্ত দিয়ে ২১৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে কলকাতা যেতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। তবে এখনও ট্রেনের রুট ঠিক হয়নি। এনিয়ে দুইদেশের রেল কর্মকর্তাদের বসতে হবে।