শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গে পালাবদলের পর থেকে প্রতিটি ইদেই রেড রোডে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার এবং সাম্যবাদের বার্তা রেড রোডের মঞ্চ থেকে বরাবরই দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, অপপ্রচার হয়েছে। সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে হইচই পাকিয়ে দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু মমতা আরো একবার স্পষ্ট করে দিলেন, তাতে তিনি দমবেন না।
বৃহস্পতিবারও (১১ এপ্রিল) যথারীতি রেড রোডের নামাজে উপস্থিত ছিলেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ওই মঞ্চ থেকে খানিক অনুযোগের সুরে বললেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ইদ বুধবার হবে। সেইমতো সফরসূচি সাজিয়েছিলাম। উত্তরবঙ্গ যেতে হবে। এখান থেকে হেলিকপ্টারে হাসিমারা যেতে হবে। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ সফর আছে।’ এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা ‘রেড রোডের নামাজ আমি কোনোদিন মিস করবো না। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার যে সুযোগ হয়, সেটা আমার জন্য আল্লার মেহেরবানি।”
বরাবরের মতো এবারেও রেড রোড থেকে সাম্যের বার্তাই শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘আমরা নফরত করতে পারি না। আমরা বিভাজন জানি না। আমরা ঈঅঅ চাই না, এনআরসি চাই না। আমরা একসঙ্গে থাকবো। আমরা ভাইয়ের মতো থাকবো, কারো অহংকার সইবো না। একসঙ্গে থাকলে কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। মৃত্যু আমাকে মানুষের পাশে আছি। থাকব।’
একই সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম সমর্থন যে তাঁর প্রয়োজন, সেটাও সুক্ষভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। বিজেপিকে একাধারে সিএএ-এনআরসি এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ত্রিফলায় বিঁধে মমতা বলে দেন, ‘বিজেপি বিভাজনের সবরকম চেষ্টা করবে। আমাদের একত্রিত থাকতে হবে। একটা ভোটও অন্য কোনো দলকে নয়। ভোটের আগে মুসলিম নেতাদের ফোন করে বলছে, আপনাদের এই চাই, ওই চাই। কিন্তু এই ভালোবাসা ছিনিয়ে নেয়া অত সহজ কাজ নয়।’
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন