ইরানে প্রত্যাঘাত করল ইসরায়েল, ক্ষেপণাস্ত্র হানা ইসফাহানে

আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬:০৫ অপরাহ্ণ

ইসফাহান বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।

সোনার দেশ ডেস্ক :


শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানের ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু’তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এই খবর জানিয়েছে। ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ইসফাহানে বিস্ফোরণের খবর দেয়া হয়েছে। সেখানে একটি বিমানবন্দরও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিশানা হয়েছে বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির খবর।

ঘটনাচক্রে, ইসফাহান এলাকাতেই রয়েছে নাতাঞ্জ-সহ ইরানের কয়েকটি পরমাণু গবেষণা এবং ইউরেনিয়াম পরিশোধন কেন্দ্র। ইরান সরকার ইসরায়েলি হামলার কথা স্বীকার করে কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংসের দাবি করেছেন। শনিবার ইরান সেনা ৩শোরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলে। তার পরেই প্রত্যাঘাতের বার্তা দিয়েছিলো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও জানিয়েছিলেন, ইসরায়েল প্রত্যাঘাত করবেই।

অন্যদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি পাল্টা দাবি করেন- ইসরায়েল হামলা করলে তার প্রত্যাঘাত হবে অত্যন্ত ভয়ানক। যদিও আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলকে হামলা না করার অনুরোধই করে আসছে। আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু তেল আবিবের এই প্রত্যাঘাতের জেরে পশ্চিম এশিয়ায় আবার যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইসরায়েলে প্রায় ২শোটি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান সেনা। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্য প্রায় ৯৯ শতাংশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইসরায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির ঘটেনি। তার আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র বিমানহানা চালিয়েছিল ইসরায়েল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েক জন কূটনীতিক এবং সামরিক প্রতিনিধি। তারই ‘জবাব’ দিতে ১৩ এপ্রিল রাতে হামলা চালানো হয় বলে তেহরানের দাবি।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ