উপজেলা নির্বাচনে পলকের হস্তক্ষেপ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট

আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ৭:২৫ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে রিট করা হয়েছে। রিটে প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন সিংড়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিতসহ নতুন করে তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটির শুনানির জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের সংসদ-সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে। নিজের শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবীব রুবেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে আনতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর জন্য উপহার হিসেবে এক প্রার্থীকে দিয়েছেন কোটি টাকার পুকুর। অপরদিকে নির্দেশ না মানায় তার শ্যালকের ঘনিষ্ঠদের হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আরেক প্রার্থী।

উপজেলা পরিষদে প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে। এ ধাপেই হতে যাচ্ছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। তফসিল ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী, গণসংযোগ শুরু করেন পাঁচ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। উপজেলাজুড়ে ছিল নির্বাচনি আমেজও। কিন্তু হঠাৎ থমকে যান তিন প্রার্থী। মাঠে টিকে থাকেন কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেল।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের পরবর্তী চেয়ারম্যান থেকে নির্বাচনি মাঠে নেমেছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরান হাসান-কামরুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও কলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন। কিন্তু নিজের শ্যালককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে আনতে বাকি প্রার্থীদের নির্বাচন না করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক। সেজন্য একজনকে পুকুর উপহার দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে বেঁকে বসেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন। প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় গত ১৫ এপ্রিল সোমবার তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করেছেন লুৎফুল হাবীবের ঘনিষ্ঠরা। এখন তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তাই এ ঘটনার পরি-প্রেক্ষিতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন মো. আসাদুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি।
তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ